কোন গ্রুপ নয় জাতীয়তাবাদী রাজনীতি করতে চাই

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. সবুরের সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার: মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সাবেক যুগ্ম-সচিব ড. এমএ সবুর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের একজন। সে লক্ষে ইতোমধ্যে কর্মকা- শুরু করেছেন। এরই অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনি তার চুয়াডাঙ্গাস্থ বাসস্থান স্বপ্নাঙ্গনে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন। একই সাথে তিনি উপস্থিতি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সাংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, রাজনীতি কোনো ব্যবসা নয়। এটি একটি ব্রত। চুয়াডাঙ্গার বর্তমান অবস্থা আমাকে ভাবায়। জেলার উন্নয়ন করতে হলে ভৌত অবকাঠামো ও জনসম্পদের উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। এ জেলার শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দরকার। এছাড়া কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট প্রয়োজন। চুয়াডাঙ্গার সার্বিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে ও জনগণের ব্যাপক সাড়া আমাকে নির্বাচন করার উৎসাহ জুগিয়েছে। তাই অনুকুল পরিবেশ বিরাজ করলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী-দল বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবো।
তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনের বর্ণনায় উল্লেখ করেন, ২০১১ সালে সরকার চাকরি থেকে তাকে অবসর নিতে হয়। সরকার অবসর দেয়ার সময় কোনো আর্থিক সুবিধা দেয়নি। অবসরের আগে তাকে টানা ৫ বছর বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে রেখেছিলেন। অবসরের পর ঢাকার দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খ-কালীন শিক্ষকতা করেন। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গা শহরে একটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের প্রথম থেকে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গতকালের সংবাদ সম্মেলন পুলিশ পার্ক সড়কের ওই স্কুলেই হওয়ার কথা ছিলো। পরে তা স্থানান্তর করা হয়।
বিএনপি থেকে নমিনেশন পাবেন কি-না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি থেকে তাকে নমিনেশন না দিলে তিনি নির্বাচন করবেন না। বরং দল থেকে যাকে নমিনেশন দেয়া হবে তাকে সহযোগিতা করবেন। চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির দুটি গ্রুপ তাদের সাথে থাকার জন্য আহ্বান করেছে। কিন্তু তিনি কোনো গ্রুপের সাথে থাকবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। নির্বাচনের ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, এ দেশের নির্বাচন করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এরপরও সুহৃদ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পরামর্শে এবং শুভাকাঙ্খীদের অনুরোধে এলাকার রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে চান। তিনি নিজেকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে বিশ্বাসী বলে দাবি করেন।