কৃষি সম্প্রসারণের বারণের পরও চুয়াডাঙ্গায় করা হয়েছে গমের আবাদ

স্টাফ রিপোর্টার: ব্লাস্ট রোগের কারণে চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ পার্শ্ববর্তী ৫টি জেলায় গমের আবাদ করতে বারণ করা হলেও কৃষকদের অনেকেই তা আমলে নেননি। কৃষি সম্প্রসারণের বারণ উপেক্ষা করে অথবা বিষয়টি না জেনেই চুয়াডাঙ্গা জেলার তিনটি উপজেলায় ইতোমধ্যেই ৩শ ৭৫ বিঘা জমিতে গমের আবাদ করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আলমডাঙ্গা উপজেলায় আবাদের পরিমাণ বেশি হলেও গতকাল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে তথ্য পৌছেনি।
জানা গেছে, গত দু’বছর ধরে গমে ব্লাস্ট রোগ মহামারি আকারে দেখা দেয়। গত বছর চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরের ২০ হেক্টর জমির গমের আবাদ ব্লাস্টে সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেয়। ফলে এবার গমের আবাদ শুরু হওয়ার আগেই বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তরফে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলায় গমের আবাদ না করার জন্য আনুরোধ জানানো হয়। এ অনুরোধ কৃষি সম্প্রসারণের উপসহকারী কৃষি অফিসারদের কৃষদের মাঝে পৌছে দেয়ার কথা। অনুরোধ শুনে না শুনে কৃষকের অনেকেই গমের আবাদ করেছেন। আলমডাঙ্গা উপজেলার তথ্য না পাওয়া গেলেও চুয়ডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৫ হেক্টর, দামুড়হুদায় ২৫ হেক্টর ও জীবননগরে ২০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ করা হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। হুইট ব্লাস্ট রোগে গমে ফুল আসতে না আসতে পেকে যাওয়ার মতো হয়ে যায়। শীষে আসে না দানা। গমের বীজ বোনার ৬০-৬৫ দিনের মাথায় বিষয়টি বোঝা যায়। তবে আবাদের আগে বীজ যদি ভালোভাবে তথা প্রতিকেজি বীজ ১ গ্রাম ছত্রাকনাশক দিয়ে শোধন করা যায় তা হলে আবাদ ওই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্র্রসারণ কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।