কৃষি অফিসার হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে বরাদ্দকৃত পাটবীজ বিক্রির অভিযোগে ফুঁসে উঠেছে চাষিকূল : পাটবীজ উর্দ্ধার : শাস্তির দাবি

স্টাফ রিপোর্টার: কৃষকদের মাঝে বিনামূলে বিতরণকৃত পাটবীজ কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে দায়িত্বরত কৃষি অফিসার হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে। বিক্রিকৃত বীজের কিছু অংশ যেমন উদ্ধার করেছে চাষিরা তেমনি অভিযুক্ত কৃষি অফিসার হুমায়ুনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে চাষিকূল।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের কালুপোল গ্রামের বেশ কিছু চাষি অভিযোগ করে বলেন, গড়াইটুপি গ্রামের লাল মাস্টারের ছেলে এ ওয়ার্ডে দায়িত্বরত কৃষি অফিসার হুমায়ুন কবির কৃষদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণকৃত সাড়ে ৭শ গ্রাম ওজনের প্যাকেটের পাটবীজ উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বরাদ্দ পান। হুমায়ুন কবির ওই বীজ কৃষদের মাঝে বিতরণ না করে কালুপোল গ্রামের জুনকের ঘরজামাই তার বিশ্বস্ত ভ্যানচালক তক্কেলের মাধ্যমে একই গ্রামের খেলাফত মণ্ডলের ছেলে বাদল ও হাফিজা খাতুদের দোকানে ৩৩ প্যাকেটে পাটবীজ বিক্রি করে দেন। বাজারের ৩শ টাকা কেজি দরের পাটবীজ কিনে এলাকার চাষিরা পাট বপন করে। তাদের দোকানে পাটের বীজ কম দামে পাওয়া যাচ্ছে জানতে পেরে সন্দেহ হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় শুধু দোকানেই না কৃষি অফিসার হুমায়ুন কবির তার লোক দিয়ে অনেকেরই নিকট বীজ বিক্রি করেছেন। পরে জনৈক এক কৃষক গ্রামের ওই দু দোকান থেকে ১০ প্যাকেট সরকারি পাটবীজ উদ্ধার করেন।

ভ্যানচালক তক্কেল বলেন, সরোজগঞ্জ বাজার থেকে পাটের বীজগুলো আমাকে বিক্রি করার জন্য দেন কৃষি অফিসার হুমায়ুন কবির। আমি গরিব মানুষ, কৃষি অফিসার আমাকে যেভাবে বলেছেন আমি সেই ভাবেই পাটবীজ বিক্রি করে টাকা তার হাতে তুলে দিয়েছি। এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করে আরও জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য তিনিও সুযোগ বুঝে ১০ প্যাকেট ভাগ বসিয়েছেন। অপর দিকে কৃষি অফিসার হুমায়ুন কবির স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় কৃষিখাতে সরকারের বরাদ্দকৃত সকল প্রকার মালামাল দীর্ঘদিন থেকে নয়-ছয় করলেও কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পান না। কৃষি অফিসারদের কেউ কেউ দীর্ঘদিন একই জায়গায় চাকরি করে দুর্নীতির বাসা বেঁধে বসেছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক অভিযুক্ত কৃষি অফিসার হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এটাই আমাদের দাবি। আজ রোববার ভুক্তোভোগী চাষিরা জেলা এবং উপজেলায় গিয়ে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলেও জানান। এ বিষয়ে অভিযুক্ত কৃষি অফিসার হুমায়ুন কবির তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কৃষকদের মধ্যে ওই পাটবীজ দেয়ার জন্য ভ্যানচালকের নিকট দিয়েছিলাম।