কুড়ুলগাছির দুর্গাপুরে গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন : থানায় মামলা

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রবিউল ইসলাম পলাশ দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না দেয়ায় মাদকাসক্ত স্বামী, শ্বশুর আবুল কাশেম, চাচা শ্বশুর আকবার আলী, দেবর শরিফুল উদ্দীন এবং নাজমুল মিলে গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, ওই গৃহবধূকে বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে অচেতন করে ফেলা হয়। গত বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কুড়–লগাছির দুর্গাপুরে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত গৃহবধূ নিলুফা খাতুন জানান, গত ৯ মাস আগে দুর্গাপুরের পলাশের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়েতে যৌতুক হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়। গত ৫ মাস ধরে পলাশ পুনরায় ১ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে টাকার জন্য আমাকে চাপ দিতে থাকে। আমার বাবা দিতে রাজি না হলে গত বুধবার রাত ১টার দিকে আমাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। এরপর আমার স্বামী পলাশ, শ্বশুর কাসেম, চাচা শ্বশুর আকবার আলী, দেবর শরিফুল ও নাজমুল আমাকে চুল ধরে বাড়ির বাইরে বের করে দেয় এবং আমার শ্বশুর আবুল কাসেম লাথি মারলে আমার পেটের বাচ্চার আঘাত লাগে এবং রক্তক্ষরণ হতে থাকে। খবর পেয়ে মেয়ের বাবা ও কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আসাদুজ্জামান গৃহবধূ নিলুফাকে উদ্ধার করে রাতেই দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এ ঘটনায় নিলুফার বাবা আব্দুল মজিদ গতকালই বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা করেন এবং ডাক্তারের রিপোর্ট পেলে কোর্টে মামলা করবে বলেও জানান। এ দিকে নিলুফা খাতুন বলেন, আমার পেটের বাচ্চার বয়স সাড়ে তিন মাস। পেটে লাথি মারার কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। ডাক্তার বলেছেন, বাচ্চা বাঁচতেও পারে নাও পারে।