কুষ্টিয়ার মিরপুরে আ.লীগ কর্মী নিহতের জের ধরে বাড়িঘর ভাঙচুর : অগ্নিসংযোগ

 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুরে গত শুক্রবার রাতে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহতের জেরে প্রায় ২২টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশি পাহারার মধ্যে বাড়িঘরে হামলা ও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটছে। অনেকে আবারও হামলার আশঙ্কায় বাড়ির আসবাবপত্র নিয়ে অন্যত্র চলে গেছে।

এদিকে গতকাল শনিবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলামের লাশ বিকেলে দাফন করা হয়। শনিবার বিকেল পর্যন্ত হত্যা ও বাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পোড়াদহ গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে নুরুল ইসলামসহ চারজন গুরুতর আহত হয়। রাত পৌনে ৮টার দিকে নুরুল ইসলাম কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হত্যার খবর পেয়ে এলাকায় নুরুল ইসলামের সমর্থকরা রাত ১০টার দিকে পারভেজ ইসলামের সর্মথকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে তারা একে একে ১২টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে বাড়ির আসবাবপত্রসহ সব খাদ্যশস্য পুড়ে যায়। বাড়ির বাইরে রাখা ধানের খড়ের গাদায় গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত আগুন জ্বলতে দেখা যায়। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পোড়াদহ নতুন বাজার এলাকায় নুরুল ইসলামের প্রায় ৩০-৪০ জন সমর্থক আবারও দেশীয় লাঠিসোঁটা নিয়ে পোড়াদহ নতুন বাজার এলাকায় পারভেজ ইসলামের বাড়িসহ প্রায় দশটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় বাড়ির লোকজন প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যায়।