কুমারী গ্রামের রহস্যজনকভাবে মৃত গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন : অপমৃত্যু দায়ের

কুমারী প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার কুমারী গ্রামের গৃহবধূ হাসনা বেগমের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হাসনার মৃত্যু নিয়ে রহস্যের দানা বেঁধেছে। কারো কারো সন্দেহ তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে কুমারী গ্রামে গতরাতে হাসনার লাশ দাফন সম্পন্ন হয়। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী মিলপাড়ার দরিদ্র বাবলু হকের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী হাসনা বেগম (৩২) গত বুধবার রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ১টার দিকে মেয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী আনিছা খাতুন মায়ের গোঙানি শব্দ শুনে জেগে ওঠে। এরপর মায়ের বিছানায় গিয়ে মাকে দেখতে পায় নাক মুখ দিয়ে ফ্যানা বের হচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরই হাসনা বেগম মারা যান। ঘটনার দিন হাসনার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। মেয়ে আনিছা জানায় সে সময় ঘরের তালা খোলা ছিল। তার মা সালোয়ার কামিজ পরে শুয়ে থাকলেও পায়জামার একাংশ খোলা ছিলো। অন্যদিকে, গ্রামসূত্রে জানা গেছে, জমিজমা নিয়ে হাসনার স্বামী বাবলুর সাথে তার ২ মামা ও খালা নুরজাহান আর খালু নবীছদ্দিনের বিবাদ চলে আসছিলো।
তাছাড়া, স্বয়ং বাবলুকে নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। গত ৪-৫ দিন আগে ঢাকায় বেড়াতে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেননি তিনি। ঢাকায় পৌঁছুনোর পরদিন বাড়ি ফিরে আসার কথা থাকলেও আসেননি। গত কয়েকদিন ধরে অধিকাংশ সময় তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে খোলা পাওয়া গেলেও কল রিসিভ করা হচ্ছে না। এ নিয়েও নানা কথা সৃষ্টি হচ্ছে।
সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ভোরে লাশ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় লাশ বাড়িতে পৌছুলে গতরাত ১০টায় গ্রামের গোরস্তানে দাফনের সিদ্ধান্ত নেয় আত্মীয়স্বজন।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসনার মৃত্যু হয়েছে। ইতঃপূর্বেও তিনি স্ট্রোক করেছিলেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তারপরও সন্দেহমুক্ত হতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ ঘটনায় হাসনার মামাশ্বশুর আচান আলী আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।