কালীগঞ্জে অর্থ অভাবে উচ্চ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পাচ্ছে না মেধাবী ছাত্রী পাপিয়া

শিপলু জামান: ক্যান্সারে বাবা মারা গেছে ২০১০ সালে। তখন ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে পাপিয়া। মা পরের বাড়িতে কাজ করে যে উপার্জন করে তা দিয়ে কোনো রকমে চলে মা-মেয়ের সংসার। শত কষ্ট আর অভাব অনটনের মধ্যেও স্বপ্ন ছিলো লেখাপড়া শিখবে পাপিয়া। হাজারো অভাব আর বাধার মধ্যে সে লেখাপড়া চালিয়ে গেছে। এবার পাপিয়া ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ভাতঘরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এ প্লাস পেয়েছে। ইচ্ছা আর আন্তরিকতা থাকলে যে কোনো কঠিন কাজেই যে সফলতা পাওয়া যায় তারই আদর্শ করনীয় এখন প্রত্যান্ত পাড়া গায়ের এই মেয়ে পাপিয়া। সে উপজলার ৭ নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের জটারপাড়া গ্রামের মৃত জালল উদ্দিনের একমাত্র মেয়ে। পাপিয়া দারিদ্রকে হার মানিয়ে এ প্লাস পাওয়ায় খুশি তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গ্রামবাসী। বুধবার তার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে সাবার মুখে মুখে এখন পাপিয়ার নাম কিন্তু পাপিয়ার মা মমেনা বেগমের শঙ্কা হইতো অর্থের অভাবে মেয়ের উচ্চ শিক্ষার দরজা এবার বন্ধ হয়ে যাবে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, পাপিয়া অনেক মেধাবী। সে নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত থাকতো। তার লেখাপড়ার খরচ স্কুল থেকে সহযোগিতা করা হতো। তাকে একটু সাহায্য করা হলেই সে একদিন দেশে অনেক বড় কিছু করে দেখাতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।

পাপিয়ার মা মমেনা বেগম জানান, খুব কষ্ট করে মেয়ের লেখা পড়া শিখিয়েছি। অর্থের অভাবে ঠিক মতো পড়াতে পারিনি। আমার দুই ছেলে আলাদা আমি পরের বাড়িতে কাজ করে মেয়েকে এ পর্যন্ত লেখা পড়া শিখিয়েছি। এখন তো কলেজে ভর্তি করাতে হলে অনেক টাকা দরকার কিন্তু এখন আর আমার পক্ষে লেখাপড়ার খরচ বহন করা সম্ভব না। সমাজের কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি যদি পাপিয়ার উচ্চ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সহায়তা অনুরোধ করেছেন তার মা ও শিক্ষকরা।