কার মাথার দাম উঠলো সবচেয়ে বেশি!

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কারো কোনো কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে মাথার দাম ঘোষণা করে তাকে হত্যায় উৎসাহিত করার বেশকিছু নমুনা দেখা গেছে গত কয়েক দশকে। এ তালিকায় সর্বশেষ নাম উঠলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত হওয়ার পরই প্রতিশোধের হুমকি দেন সে দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাথার দামও ঘোষণা করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মাথার জন্য ৮০ মিলিয়ন বা ৮ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে এ তহবিল সংগ্রহে ইরানের প্রত্যেক নাগরিককে এক ডলার করে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুকার পুরস্কারজয়ী ব্রিটিশ ভারতীয় লেখক সালমান রুশদির চতুর্থ উপন্যাস ‘স্যাটানিক ভার্সেস’-এর জন্য মুসলিম বিশ্বে বিক্ষোভের ঝড় ওঠে ১৯৮৯ সালে। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে তার মৃত্যুদ- ঘোষণা করেন ইরানের তখনকার সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি। রুশদির মাথার জন্য ২৮ লাখ ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। পুরস্কারের অঙ্ক বাড়িয়ে ২০১৬ সালে ৩৪ লাখ ডলার করা হয়েছে।
২০১৮ সালের মার্চে জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনের মাথার দাম ১০ লাখ ডলার স্থির করে যুক্তরাষ্ট্র। পরের বছরই হামজা বিন লাদেনের মৃত্যুর খবর আসে। তবে কবে কোথায়, কীভাবে তিনি মারা যান সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। আল কায়েদার প্রধান নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে জীবিত বা মৃত ধরিয়ে দেয়া বা তার অবস্থান জানানোর জন্য ২৫ লাখ ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির মাথার জন্যও ২৫ লাখ ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর এক বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় এক অভিযানের সময় নিজের শরীরের সঙ্গে বাঁধা বোমা ফাটিয়ে বাগদাদি মৃত্যুবরণ করেছেন।
পানামার সাবেক সামরিক শাসক মানুয়েল নরিয়েগার মাথার দাম ১০ লাখ ডলার নির্ধারণ করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৮৯ সালে সামরিক অভিযান চালিয়ে তাকে ধরা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মাদক পরিবহন, চাঁদা আদায় এবং অর্থ পাচারের মামলায় কারাদ- হয় তার। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর নরিয়েগার আবার কারাদ- হয় ফ্রান্সে।
২০০৭ সালে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বিকৃত ছবি আঁকায় সুইডিশ কার্টুনিস্ট লার্স ভিকসের মাথার দাম এক লাখ ডলার ধরে তাকে হত্যার আহ্বান জানায় জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা।
২০১১ সালে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে জীবিত অথবা মৃত ধরিয়ে দিতে ১৩ লাখ ডলার বা ২০ লাখ দিনার পুরস্কারের ঘোষণা দেন লিবিয়ার বিদ্রোহী ব্যবসায়ী আবদেল সালাম। লিবিয়ার বিদ্রোহীদের জাতীয় অর্ন্তবতী কাউন্সিলের (ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল-এনটিসি) প্রধান মুস্তফা আবদেল জলিল এ কথা জানান। সে বছরেই ২১ অক্টোবর বিদ্রোহীদের হাতে গাদ্দাফি মৃত্যুবরণ করেন।