কার্পাসডাঙ্গা-কুড়ুলগাছিতে জমে উঠেছে ইফতার বাজার

 

হাসেম রেজা: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা-কুড়ুলগাছিতে জমে উঠেছে ইফতারির বাজার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে গত বছরের চেয়ে এবার ইফতার সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেলেও ক্রেতা সমাগমে কোনো ঘাটতি নেই। পবিত্র রমজান মাসের শুরু থেকেই জমে উঠেছে ইফতারির দোকানগুলো। দিন দিন বেড়েই চলছে ক্রেতাদের ভিড় ও বিক্রেতার ব্যস্ততা। বর্তমানে কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়ুলগাছিতে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লাখ টাকার ইফতার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কার্পাসডাঙ্গা ব্রিজ মোড়, কাউন্সিল মোড়ে, আশরাফ বাজার, কবরস্থান বাজার, কুড়ুলগাছি বাজারের মোড়ে মোড়ে দুপুর গড়াতে না গড়াতেই দোকানগুলোতে ইফতারির পসরা সাজিয়ে রাখা হচ্ছে। এর মধ্যে শাহী জিলাপি, বুট বুন্দিয়া, বেগুনি, পিঁয়াজি, ডিম চপ, সবজি রোল, ছানার পোলাও, হালিম, হালুয়া, বুট বিরানি, ঝুরিয়া মুড়ি রয়েছে। আর কদর রয়েছে জিলাপি, বুন্দিয়া, বেগুনি, পেঁয়াজু আর হালিমের। রোজাদারদের কাছে ইফতার সামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত বিভিন্ন ধরনের খেজুর। খেজুর সর্বনিম্ন ৮০ টাকা থেকে ৮শ টাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও অন্য সামগ্রীর মধ্যে জিলাপি ১শ থেকে ১৬০ টাকা কেজি, বুন্দিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, সিদ্ধ ছোলা ১১৫ থেকে ১৫৫ টাকা, ছানার পোলাও ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, বেগুনি ৪ ও ৬ টাকা পিস, আলুর চপ ৩ থেকে ৫ টাকা, পেঁয়াজু ৩ থেকে ৫ টাকা, সবজি রোল ৮ থেকে ২৫ টাকা। এছাড়াও প্রতি হালি কলা প্রকারভেদে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল বুধবার বিকেলে কার্পাসডাঙ্গার ব্রিজমোড়ে ইফতার সামগ্রী কিনতে আসা শহিদুল ইসলাম রাজু, রাশেদ হোসেন মিঠু, নুর ইসলাম, হাকিম উদ্দিন, মোশাররফ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবার ইফতার সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা অনেকেই তাদের পছন্দনীয় ইফতার কিনতে পারছেন না।

এছাড়া ক্রেতাদের অভিযোগ, ইফতার সামগ্রীতে মেশানো হচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ও রঙ। কর্তৃপক্ষের মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ছোট-বড় মাঝারিসহ অধিকাংশ দোকানে দেদারছে এসব ইফতার সামগ্রীর বেচাকেনা হচ্ছে। আর বাধ্য হচ্ছে ক্রেতারা এই বিষাক্ত খাদ্য কিনতে। ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। ক্ষুব্ধ হচ্ছেন রোজাদাররা। এদিকে মূল্য বৃদ্ধি সত্ত্বেও দোকানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লেগে থাকায় বিক্রেতারা বেশ খুশি।