কার্পাসডাঙ্গায় সমিতির কিস্তির টাকা না পেয়ে সন্ধ্যারাতে গ্রাহকের ঘরের তালা মারতে গিয়ে জনতার বাধার মুখে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কর্মচারী : মুচলেকা মুক্তি

 

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গা গ্রামে সমিতির কিস্তির টাকা না পেয়ে সন্ধ্যারাতে তালা কেটে ঘরের মালামাল বের করতে গিয়ে জনরোষের মুখে পড়ে পুলিশের হাতে আটক হয়ে অবশেষে মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পেয়েছেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিটের ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তবে তাদের দাবি আমরা কিস্তির টাকা না পেয়ে তার বাবা মাকে বলে শিকল কেটে আমাদের তালা মারছিলাম।  গ্রামের সচেতন মহল বলে এ যেন ডাকাতির চেয়ে বড় কিছু।

জানা গেছে, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গা গ্রামের মিশন পল্লীর চৈতির স্ত্রী ফুলমনি ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কার্পাসডাঙ্গা শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করে। তারা কয়েকটি কিস্তি চালিয়েছেও বলে জানা গেছে। তবে গতকাল রোববার তারা বাড়ি না থাকায় কিস্তির টাকা দিতে না পারায় তাদের অনুপস্থিতিতে সন্ধ্যারাতে কার্পাসডাঙ্গা শাখার ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ইউনিট ম্যানেজার মিনারুল ইসলাম, টেকনিক্যাল সুপার ভাইজার মিল্টন, কর্মসূচি সংগঠক ফারুক, মাসুমসহ আরো বেশ কয়েকজন মিলে ঘরের তালা কেটে মালপত্র বের করার চেষ্টাকালে গ্রামবাসী জানতে পেরে ভিড় জমায় ফুলমনির বাড়িতে। এভাবে সন্ধ্যারাতে বাড়ি মালিকের অনুপস্থিতিতে তালা কাটার নিয়ম আছে কি-না? তাদের কাছে এসব করার আইনি কোনো কাগজ আছে কি-না?  জানতে চাইলে ঘাবড়ে যায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। উত্তেজিত জনতা কার্পাসডাঙ্গা পুলিশে খবর দিলে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ি তাঁদের আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। পরে লিখিত মুচলেকা দিয়ে পার পায় ওয়েভের অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তারা। সচেতন মহলের দাবি ওয়েভ ফাউন্ডশেনের মতো একটি সুনাম ধন্য প্রতিষ্ঠানে এ সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা ডাকাতের মতো সন্ধ্যারাতে ঘরের তালা কেটে ঘরে প্রবেশ করে ওয়েভ ফাউন্ডশেনের দুর্নাম করতে চাই তাদের অপসারণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উদ্ধতন কৃর্তপক্ষের কাছে গ্রামবাসীসহ সচেতন মহল। কার্পাসডাঙ্গা ইউনিট ম্যানেজার মিনারুল ইসলাম জানান আমরা প্রায় আনুমানিক ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাবো। ফুলমনির শাশুড়ির অনুমতি নিয়ে তালা কেটে আমরা তালা মারতাম। তবে তালা কাটতে যাওয়ার ঘটনায় ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন।