কাবিলনগর মাদরাসার অঘটন ঘটন পটিয়সী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আবারও অনিয়মের অভিযোগ

 

এবার দাখিল পরীক্ষার সার্টিফিকেট উত্তোলনকালে দু ছাত্রের নিকট থেকে হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর তা সালিসে ফেরত দেয়ার অভিযোগ

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার কাবিলনগর নসরুল উলুম আলিম মাদরাসার অঘটন ঘটন পটিয়সী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আবারও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এবার দাখিল পরীক্ষার সার্টিফিকেট নিতে গেলে দু ছাত্রের নিকট থেকে ৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার কাবিলনগর নসরুল উলুম আলিম মাদরাসা থেকে এ বছর অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় অন্যান্যের সাথে কৃতকার্য হয়েছে ওই মাদরাসার ছাত্র আব্দুল্লাহ ও নাঈম। তারা চাচাতো ভাই। সম্প্রতি তারা মাদরাসায় দাখিল পাসের সার্টিফিকেট তুলতে গেলে অধ্যক্ষ মাওলানা শহিদুল ইসলাম তাদের ২ ভাইয়ের নিকট ৫ হাজার টাকা ফি দাবি কনরে। অনেক দর কষাকষির পর তারা দুজন সাড়ে ৩ হাজার টাকা অধ্যক্ষকে প্রদান করে। আর বাকি রাখে ৫শ টাকা। এমন অভিযোগ করেছেন দু ছাত্রের চাচা জাহাঙ্গীর। এমন তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য।

এদিকে দাখিল পরীক্ষার সার্টিফিকেট উত্তোলনের নামে প্রত্যেক কৃতকার্য শিক্ষার্থীর নিকট মোটা টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় বেশ কিছুদিন ধরে মাদরাসার সাধারণ শিক্ষকরাও ভেতরে ভেতরে ফুঁসছিলেন। সম্প্রতি এই ২ ছাত্রের নিকট থেকে অবৈধভাবে এতো টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় শিক্ষকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা এ ব্যাপারে গত বুধবার সালিস বৈঠকের আয়োজন করে। সালিসে অধ্যক্ষ বাধ্য হয়ে সমুদয় অর্থ ফেরত দেয়। এই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের সাথে ২ দফা কথা হয় মোবাইলফোনে। প্রথমে তিনি ঢাকা মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে সার্টিফিকেট এনে দেয়া বাবদ একটু বেশি টাকা নিয়েছিলেন বলে দাবি করেন। এবং সে টাকা ফেরত দিয়েছেন বলেও দাবি করেন। শেষ বার কথা বলার সময় উপজেলার সকল স্কুল-মাদরাসার সার্টিফিকেট একবারে নিয়ে আসা হয় এবং তা বেশ কয়েক মাস পূর্বেই এসেছে। তাহলে তিনি কেন ঢাকায় সার্টিফিকেট আনতে যাবেন? এমন প্রশ্ন করলে বলেন, তার মাদরাসার অফিস সহকারী মহিলা সার্টিফিকেটগুলো এক শিক্ষকের নিকট রেখেছিলেন। বিষয়টি তিনি জানতেন না। সে কারণে ঢাকা থেকে এনে দেয়ার অন্য অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছিলেন।

অধ্যক্ষ মাওলানা শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইতঃপূর্বেও না অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছিলো। ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে নিজ মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ফুঁসে ওঠে। এক পর্যায়ে তিনি মাদরাসা থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। প্রায় দীর্ঘ ২ বছর ১ মাস পর মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতিকে ম্যানেজ করে পুনরায় অবৈধ প্রক্রিয়ায় স্বপদে বহাল হন অভিযোগ রয়েছে। এছাড়ার অধ্যক্ষ মাওলানা শহিদুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।