কলারোযায় দু গৃহবধূসহ তিনজনের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় গ্রামপুলিশ আটক

স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরার কলারোযায় দুই গৃহবধূসহ তিনজনকে কোমরে রশি দিয়ে পৈশাচিক নির্যাতন ও কান ধরে উঠবস করার ঘটনায় ইব্রাহিম হোসেন নামে এক গ্রাম পুলিশকে আটক করা হয়েছে। আটক গ্রাম পুলিশ ইব্রাহিম উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামের ইমান আলীর ছেলে। রোববার ভোর রাতে তাকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলারোয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, রোববার ভোর ৪ টার দিকে ইব্রাহীমকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

রোববার দুপুরে তাকে সাতক্ষীরা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান। গত ২৯ আগস্ট দুপুরে উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামের মালেয়েশিয়া প্রবাসী হাফিজুর রহমানের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন তার খালাতো বোন রুমা ও বোনের স্বামী জাহিদুর রহমানের সঙ্গে গল্প করছিলেন। এমন সময় কয়েকজন ব্যক্তি প্রবেশ করে। নিজেদেরকে সমাজপতি দাবি করে প্রবাসীর স্ত্রীর খালাতো বোন ও বোনের স্বামীকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এক পর্যায়ে ওই দম্পতির বিয়ের কাগজপত্র দেখতে চায়। ওই অজুহাত দিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ আনে তথাকথিত ওই ‘সমাজপতিরা। তারা কেবল অভিযোগ এনেই ক্ষান্ত হয়নি। তিনজনকে প্রকাশ্যে গ্রামের লোকজনের সামনে দড়ি দিয়ে বেঁধে পিটিয়েছে এবং কান ধরে উঠবস করিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রবাসীর স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন (২৭) এ নির্যাতনের বিচার চেয়ে মামলা করেছেন। আটককৃত ইব্রাহীম ওই মামলার আসামি হওয়ায় তাকে আটক করা হয় বলে থানার ওসি জানান।