কর কমিশনার তাহের হত্যার দায়ে ৫ জনের ফাঁসি

 

স্টাফ রিপোর্টার: সাবেক কর কমিশনার আবু তাহের হত্যা মামলায় বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল। গতকাল বুধবার ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরকার মামলার রায়ে আসামিদের ওই দণ্ড দেন। একইসঙ্গে হত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই নারীসহ চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো— নিহত আবু তাহেরের গাড়ি চালক মো. নাছির, নাছিরের খালাতো ভাই রাসেল তালুকদার, মো. রুস্তম, আমির হোসেন ও সোহেল রানা। বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আসামি নূর আলম ও মাসুদ মিয়াকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া গৃহকর্মী সেলিনা ও নূরজাহানকে দুই বছর কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আসামি রুস্তম পলাতক, বাকি সবাই গ্রেফতার হয়ে কারাগারে। রায় ঘোষণার আগে আট আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি মাহফুজুর রহমান লিখন। চার্জশিটে বলা হয়, সাবেক কর কমিশনারের গাড়ি চালক নাছিরই ওই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। আসামিদের মধ্যে সাতজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। নয় মাস গাড়ি চালানোর পর অবাধ্যতার কারণে চাকরি থেকে বরখাস্ত হলে গৃহকর্মী ও খালতো ভাই রাসেলকে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে নাছির। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার রাতে বাসার পেছনের দিকের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢোকে নাছির, রাসেল, রুস্তম, সোহেল ও আমির। বাইরে থেকে তাদের পাহারা দেয় নূর আলম, সুজন ও মাসুদ। হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করে সেলিনা ও নূরজাহান। ২০১৫ সালের ২ মার্চ ভোররাতে পূর্ব রামপুরার টিভি গেট এলাকায় আবু তাহেরের ৩৪৭ নম্বর বাসার ভেতরে ঢুকে কাপড় দিয়ে আবু তাহেরের মুখ বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যার পর হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় দুর্বত্তরা। ঘরে থাকা নগদ ৪৫ হাজার টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণ এবং তিনটি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। নিহতের ছোট ছেলে আরিফুল হক বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন।