এসএসসি পরীক্ষায় আকৃতকার্য হওয়ায় মেহেরপুরে গৃহবধূর আত্মহত্যা

মেহেরপুর অফিস: এসএসসি পরীক্ষায় পাস করতে না পেরে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে দিপালী দাস (১৮)। পর পর দুইবার পরীক্ষা দিয়ে একই ফলাফল হওয়ায় রাগে ক্ষোভে অভিমানে এ ঘটনা ঘটায় বলে জানায় তার পরিবার ও পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে পিতার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটায়। নিহত দিপালী দাস মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী গ্রামের সজল দাসের মেয়ে ও পাটকেলপোতা গ্রামের তাপস দাসের স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শোলমারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে গত বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে গণিতে অকৃতকার্য হয় দিপালী দাস। দৃঢ় মনোবল নিয়ে এবার আবারো পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। কিন্তু বুধবার ফলাফল প্রকাশ হলে দিপালী দাস একই বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। এতে রাগে ক্ষোভে সে পিতার বাড়ির ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পরে পরিবারের লোকজন টের পেলেও দিপালীকে আর বাঁচানো যায়নি। এ ঘটনায় পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে বইছে শোকের ছায়া। এ বিষয়ে তাদের কোনো সন্দেহ নেই বিধায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশের শেষকৃত্য করার ইচ্ছে পোষণ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

শোলমারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান জানান, দিপালী গত বছর পরীক্ষা দিয়ে গণিতে অকৃতকার্য হয়। এবারও এসএসসি পরীক্ষায় ৩১ জন অংশ নিয়ে শুধু দিপালী গণিতে অকৃতকার্য হয়েছে। এ অভিমানে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।

স্থানীয় সূত্রে আরো জানা গেছে, গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাস না করলেও পরিবারের পক্ষ থেকে দিপালীর বিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য সে বেশির ভাগ সময় পিতার বাড়িতে বসবাস করতো।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, মৃত্যুর বিষয়ে পরিবারের কোনো সন্দেহ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত করতে ইচ্ছুক ছিলেন না তারা। তাই জেলা প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে ময়নাতদন্ত ছাড়া তার লাশের সৎকার করা হয়েছে।