এল নিনো শঙ্কায় শুরু হচ্ছে নতুন বছর

মাথাভাঙ্গা মনিটর: এল নিনোর প্রভাবে ২০১৬ সালে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ খাদ্যাভাব ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো। একই কারণে ২০১৫ সাল ছিলো এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে উষ্ণ বছর।
আগামী বছরও এর প্রভাব অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এল নিনোর বাংলা করলে দাঁড়ায় দামাল বালক। যা সূর্য কিরণে সাগরে বিশেষ তাপীয় অবস্থা। আবহাওয়ার এই বিশেষ ঘটনার প্রভাবে আগামী বছর বিশ্বের বেশ কিছু অঞ্চলে খরা ও কিছু অঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে এল নিনোর কারণে আফ্রিকায় খাদ্যসঙ্কট চূড়ান্ত রূপ নিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই সাথে ক্যারিবিয়ান, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে এর প্রভাব পড়বে।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বন্যার জন্য বর্তমান এল নিনোকে দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা। এর কারণে উত্তর গোলার্ধের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেইসাথে প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যাঞ্চলের উষ্ণ পানি পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর ও দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এল নিনো আবহাওয়ার একটি পর্যায়বৃত্তিক ঘটনা। সাধারণত ২ থেকে ৭ বছর পর পর এটি হতে দেখা যায়। এর ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও আবহাওয়ার ছন্দ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সতর্ক করে জানিয়েছে, এবারের অবস্থা ১৯৯৮ সালের মতো হতে পারে। সেবছর এল নিনোর কারণে বিশ্বব্যাপী বিরূপ আবহাওয়া দেখা গিয়েছিলো।