এটা এরশাদের শেষ কথা নয়

স্টাফ রিপোর্টার: এরশাদ শেষ কথা বলে ফেলেছেন, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এরশাদের মুখ থেকে শেষ কথা শোনা হয়ে গেছে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত এমনটা মনে করার কারণ নেই। এটাই যে তার শেষ কথা, এটা  কেন মনে করেন? দুপুরে এরশাদের নির্বাচন অংশ নেয়া থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। দেশের রাজনীতির সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে আগামী এক সপ্তা অপেক্ষা করার কথা বললেন মন্ত্রী। যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে। এ সময় অপ্রত্যাশিত ও অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। দেশে জরুরি অবস্থা জারির কোনো সম্ভাবনা আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার মতো অবস্থা এখনো হয়নি। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করতে হবে।

এদিকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, এরশাদ তো প্রতিদিন কতো ক্রিয়াই করছেন। এটি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। ওনার এ ক্রিয়া কতোক্ষণ থাকে সেটা আগে দেখার দরকার। তারপর এর প্রতিক্রিয়া দেয়া যাবে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর মিলনায়তনে বিজয় দিবসের এক আলোচনাসভায় সুরঞ্জিত এ মন্তব্য করেন। সুরঞ্জিত বলেন, তিনি (এরশাদ) হয়তো সাময়িকভাবে ক্ষুব্ধ হতে পারেন। পরে যখন তিনি স্বাভাবিক হবেন তখন এটা পুনর্বিবেচনা করবেন বলে আমার বিশ্বাস। আওয়ামী লীগের উপদষ্টো পরিষদের এ সদস্য বলেন, তিনি (এরশাদ) স্বেচ্ছায় সর্বদলীয় সরকারে যোগদান করেছেন। আবার নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণাও দিয়েছিলেন। এখন তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি কী করবেন। বিরোধীনেতা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিবৃতি প্রসঙ্গে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে তফশিল স্থগিত করার জন্যে বলেছেন। তিনি বুঝেছেন এখন আর ক্ষমতা সরকারের হাতে  নেই, এটা এখন সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের হাতে। তবে আপনাকে বলতে হবে, আপনি নির্বাচনে আসবেন। তারপর কমিশন এটি বিবেচনা করলে করতে পারেন। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকার কারণে ৫ থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে।

বিরোধীদলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মানুষ পুড়িয়ে মারবেন, আবার তফশিল স্থগিত চাইবেন কিন্তু নির্বাচনে আসবেন না-এটি হতে পারে না। নির্বাচনে অংশ না নিলে আমও যাবে ছালাও যাবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগেরসহ সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, জাসদ নেতা মীর হোসেন আক্তার, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।