এক রোগী নামিয়ে অর্থের বিনিময়ে অন্য রোগী শয্যায় তুললো দালাল

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দালাল প্রতারকচক্রের উৎপাত আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর আধুনিক হাসপাতালে বহিরাগত দালালচক্রের উৎপাত দিন দিন বেড়েই চলেছে। রোগী ভাগিয়ে নেয়াসহ রোগী সাধারণের সাথে প্রতারণার পাশাপাশি ওদের কেউ কেউ এখন হাসপাতালের শয্যা থেকে রোগী নামিয়ে অর্থের বিনিময়ে অন্য রোগীও তুলে দিচ্ছে। চিকিৎসাধীন এক রোগীকে বানোয়াট কথা বলে নামিয়ে দিয়ে অন্য এক রোগীকে অর্থের বিনিময়ে তুলে দেয়ার ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে।

চুয়াডাঙ্গা সদর আধুনিক হাসপাতালের মেল মেডিসিন ওয়ার্ডের এক রোগীকে শয্যা থেকে নামিয়ে অন্য রোগীকে ৫শ টাকার বিনিময়ে শয্যায় উঠিয়ে দেয়ার বিষয়টি জানার পর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. পরিতোষ কুমার ঘোষ বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, এসব কী হচ্ছে? দালালেরা আর কতোটা অতিষ্ঠ করার পর ওদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে? এ ধরনেণের প্রতারক দালালচক্রের অপতৎপরতা অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার।

জানা গেছে, দামুড়হুদার দর্শনা ইশ্বরচন্দ্রপুরের মৃত মজির আলীর ছেলে নিজাম উদ্দীন (৫০) পরশু থেকে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি। তিনি মেল মেডিসিন ওয়ার্ডের ৪ নং বেডে ছিলেন। গতকাল বিকেলে চিহ্নিত এক দালাল চিকিৎসাধীন রোগী নিমাজের শয্যাপাশে থাকা তার স্ত্রী জাহানারা খাতুনকে বলে, ‘ডাক্তার বলেছে রোগীকে নিচে রাখতে। বেডে থাকলে রোগ ভালো হবে না।’ এ কথা শুনে জাহানারা খাতুন তার স্বামী তথা রোগী নিজামকে শয্যার নিচে নামাতেই ওই ব্যক্তি অপর এক রোগীকে ওই শয্যায় উঠিয়ে দিয়ে সটকে পড়ে। পরে চিকিৎসক রাউন্ডে গেলে রোগী নিচে কেন জানতে চাইলে জাহানারা খাতুন এ কথা বলতেই চিকিৎসকের চোখ কপালে ওঠে। সর্বনাশ। কোন ডাক্তার বলেছে এ কথা? জাহানারা বলেন, মুখে দাঁড়ি আছে। হালকাপাতলা লোকটাই তো ওই কথা বলে বেড থেকে রোগী নামিয়ে দিয়ে ওই লোকটাকে তুলে দিলো।

নাজিম উদ্দীনকে নামিয়ে দিয়ে সেই শয্যায় ওঠা রোগী আলমডাঙ্গার পাঁচকমলাপুরের আশাদুল। তিনি চিকিৎসকের নিকট ৫শ টাকার বিনিময়ে ওই বেড নিয়েছেন বলে জানালেও শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকদের সামনে তা সরাসরি স্বীকার করেননি। তিনি বলেছেন, আমার কিছু পরীক্ষা টরিক্ষা করিয়ে বললো, বেডে তুলে দিচ্ছি। তুলে দিয়ে চলে গেছে। লোকটাকে চিনি না।