একরাতের বর্ষণের পানি নিষ্কাশনের অভাবে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার পরিবেশ দুষিত: জনদুর্ভোগ

 

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: বর্ষণের ২/৩ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পানিতে সয়লাব আলমডাঙ্গা পৌরসভার অনেকাঞ্চল।পানি নিষ্কাশনের উন্নত ও কার্যকর ব্যবস্থা না থাকা এবং পানি নিষ্কাশনের খালগুলো বেদখল হয়ে যাওয়ায় পৌরবাসীর ভোগান্তি দীর্ঘতর হচ্ছে।আবদ্ধ পানি ক্রমেই দুষিত হওয়ার ফলে মশার বংশবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধির আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে।

জানাগেছে,গত ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা অঞ্চলে ব্যাপক বর্ষণ শুরু হয়। এ বর্ষণ একটানা মধ্যরাত অবধি চলে। ফলে আলমডাঙ্গা পৌরসভার অধিকাংশ অঞ্চলের রাস্তা,বাড়ি, অফিস-আদালত পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। বেশ কয়েক দিন ধরে এ পানি আবদ্ধ অবস্থায় থাকার ফলে শহরবাসীর ভোগান্তির অন্ত নেই। এখনও শহরের অনেক রাস্তা পানিতে ডুবে আছে।উপজেলার রেজিস্ট্রি অফিসের সামনের রাস্তা, উপজেলার অভ্যন্তরের রাস্তা পানিতে ডুবে রয়েছে।অনেকের বাড়ির ভেতরে ওঠা পানি এখনো নিষ্কাশন হয়নি। অতি বর্ষণের পানি রান্নাঘরের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে।এমন পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। যেহেতু আলমডাঙ্গা পৌরসভায় মাস্টারপ্ল্যানে ড্রেন নির্মিত হয়নি, সেকারণে অধিকাংশ ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা অকার্যকর হয়ে পড়েছে।ড্রেনের যতোটুকু অংশ অপেক্ষাকৃত ভালো রয়েছে তার অধিকাংশ নজরদারির অভাবে ড্রেনের অভ্যন্তরে ময়লা-আবর্জনা ও ইঁদুরে মাটি তুলে ভরে রেখেছে।ফলে আলমডাঙ্গার পয়ঃনিষ্কাশনের ড্রেন অকার্যকর হয়ে রয়েছে।তাছাড়াঅতি বর্ষণের পানি নিষ্কাশন ওই সকল ড্রেন দিয়ে সম্ভবও নয়।এ ক্ষেত্রে বরং ড্রেন থেকেই পানি বের হয়ে রাস্তা সয়লাব করে।কারণ এ ড্রেনগুলো সাধারণত মিশেছে খাল হয়ে ডামোশ বিলে। অতি বর্ষণের সময় আশপাশের এলাকার পানিতে খালগুলো টইটম্বুর অবস্থা থাকায় উল্টো ড্রেনের ভেতর খালের পানি ঢোকে। যদি ড্রেন নির্মাণে মাস্টারপ্লান অনুসরণ করা হতো তাহলে এ অবস্থার সৃষ্টি হতো না। আবার আলমডাঙ্গা শহরের অধিকাংশ এলাকার পানি নিষ্কাশিত হতো স্টেশনের আশপাশের খালে, টার্মিনাল এলাকা হয়ে গোবিন্দপুরের খাল দিয়ে।

অন্যদিকেপূর্ব, উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশের পানি নিষ্কাশিত হতো আনন্দধামের খাল হয়ে ডামোশের বিলে।সম্প্রতি এ খাল দুটির বেশ কয়েক জায়গায় প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মাছচাষ করেছেন। যার দরুন খাল দুটি দিয়ে আর শহরের পানি বের হতে পারছে না। তাছাড়া ডামোশ বিলের প্রশস্ত বুক দখল করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য পুকুর তৈরি করা হয়েছে।ফলে এ বিলে শহরের সমুদয় পানি ধারণ করা আর সম্ভব হবে না।পানির এ আবদ্ধাবস্থা আরো কয়েক দিন স্থায়ী হলে শহরে মশার উপদ্রুব মারাত্মক বেড়ে যাবে।পানিবাহিত সংক্রামক রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিকল্প চিন্তা করতে হবে।