এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ॥ পৌর কলেজ কেন্দ্রে সেই বিতর্কিত কক্ষ পরিদর্শক

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের প্রভাষক শামীমা সুলতানাকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব দেয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অনেক পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক প্রভাষক শামীমা সুলতানাকে কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন ও গত বছর প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় কম নম্বর দেয়ার কারণে অভিযুক্ত শিক্ষকদের পরীক্ষা পরিচালনা কমিটিতে রাখায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল রোববার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গত বছর পৌর কলেজ কেন্দ্রে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। ওই বছরে পৌর কলেজের পরীক্ষার্থীদের সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এবং সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের পরীক্ষার্থীদের চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ও সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ কেন্দ্র নিয়ে পরীক্ষার্থীদের কোনো অভিযোগ না থাকলেও পৌর কলেজ কেন্দ্র নিয়ে পরীক্ষার শুরু থেকেই কক্ষ পরিদর্শকদের খারাপ আচরণের কারণে বিতর্ক ওঠে। লিখিত পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক শেষ হতে না হতেই কলেজের কয়েকজন শিক্ষক প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার খাতা নিয়ে বাণিজ্যে নামেন বলে গুঞ্জন ওঠে। এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায়, সরকারি কলেজের মেধাবী পরীক্ষার্থীদের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় কম নম্বর দেয়া হয়েছে। যা ,পরীক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক ও সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ অস্বাভাবিক বলে মনে করেন। এরপর পরীক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক ও সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
বোর্ড কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। যার অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র পৌর কলেজ থেকে সরিয়ে সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে দেয়া হয়। একইভাবে সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র পৌর কলেজে এবং পৌর কলেজের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র সরকারি কলেজে দেয়া হয়।
সম্প্রতি যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, বিতর্কিত কোনো শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্বে রাখা হবে না। এরপরও কি কারণে পৌর কলেজে বিতর্কিত শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া হলো সেটাই ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন।