ইবিতে প্রক্সি : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ দুজনের কারাদণ্ড

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রক্সির দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ দুইজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শুক্রবার দুপুর দেড়টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক কুষ্টিয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম কমল এ আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কাজি ফেরদৌস হাসান জয় এবং যশোর এমএম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র সাব্বির রহমান। তারা প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে অন্যের হয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে আটক হন। ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের বাতিল হওয়া দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষায় অংশ নিতে আসেন তারা। আসন বিন্যাস অনুযায়ী ব্যবসায়ী প্রশাসন অনুষদ ভবনে প্রবেশের সময় তাদের আটক করা হয়। ওই ভবনের প্রবেশ দ্বারে দায়িত্ব পালনকারী সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক রশিদুজ্জামান এবং সহকারী অধ্যাপক নাসিমুজ্জামান প্রবেশপত্রের সঙ্গে তাদের চেহারার অমিল থাকায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে প্রক্সির কথা স্বীকার করলে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির কাছে হস্তান্তর করেন তারা। পরে প্রক্টর অফিসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হস্তান্তর করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক কুষ্টিয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম কমল পাবলিক পরীক্ষাসমূহ অপরাধ আইন-১৯৮০ এর ৩নং ধারায় তাদের দুইজনকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তাদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। সাইফুল ইসলাম কমল সাংবাদিকদের জানান, ফেরদৌস জয় নাটোরের জিউপাড়ার ফিরোজ আহমদের ছেলে। সে দেবাশীষ সরকারের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলো। আর সাব্বির রহমান যশোরের বাঘারপাড়া থানার পুকুরিয়া গ্রামের বাবর আলীর ছেলে। সাব্বির শৈলকুপার তন্ময় রহমানের হয়ে পরীক্ষা দিতে আসে। তাদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আইনানুযায়ী সাজা দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াত চক্রকে ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদা তৎপর ছিলো। ফলে আমরা চারজন জালিয়াত চক্রের সদস্যকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি।