ইফতারিতে গাংনীর কামিলের আড়াই প্যাঁচের কদর

 

মাজেদুল হক মানিক: জিলাপির আড়াই প্যাচ নিয়ে কতোই না রসিকতা ও উদাহরণ রয়েছে। এ নিয়ে নেতিবাচক কথাবার্তা প্রচলিত থাকলেও টসটসে রসালো জিলাপি কার না ভালো লাগে। আর ইফতারিতে যদি জিলাপি থাকে তাহলে ভোজনে এক অন্য মাত্রা যোগ হয়। জিলাপি ছাড়া অনেকেরই ইফতার যেনো অপূর্ণ রয়ে যায়। আর যদি সে জিলাপি হয় মেহেরপুর গাংনী শহরের কামিল হোটেলের। তাহলে তো আর কথাই নেই। দীর্ঘ এক যুগ ধরে কামিল হোসেনের জিলাপির সুনাম ছড়িয়ে রয়েছে। যার ছাপ পড়েছে প্রতিদিনের ইফতারি বেচাকেনায়।

প্রতিদিন বিকেল হলেও কামিল হোটেলে জিলাপি বেচাকেনার ভিড় পড়ে। রোজার শুরু থেকে গতকাল পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড়ের ছেদ পড়েনি। নানা বয়সী মানুষ জিলাপি কিনে বাড়ি ফেরেন ইফতারি করতে। সু-স্বাদু কামিল হোসেনের জিলাপির চাহিদা রোজার সময় বেড়ে গেলেও সারা বছরই রয়েছে এর ব্যাপক কদর। হালখাতা, মিলাদ-মাহফিলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান কামিল হোসেনের জিলাপি ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ।

গতকালও ইফতারের আগে যথারীতি জিলাপি বেচাকেনার ধুম পড়ে। প্রতিদিনই এই হোটেলে দুই থেকে চার মণ জিলাপি তৈরি করা হয়। প্রতি কেজির মূল্য ৮০ টাকা। বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে এখন চাহিদা বেশি থাকলেও দাম বাড়েনি। উপরন্তু ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এখানকার মিষ্টির কারিগরদের। কিন্তু ক্রেতাদের সুবিধার কথা ভেবে মূল্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে বলে জানান কামিল হোসেন।

কামিলের জিলাপি স্বাভাবিক আকারেই তৈরি হয়। তবে বিশেষভাবে (স্পেশাল) তৈরি করে নেয়ারও সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ইফতারের জন্য আকারে ছোট ছোট ও শক্ত করে ভেজে নেয়ার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের ভিড়ের মধ্যেও যারা স্পেশাল নিতে চান তাদেরকে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হয়। তবেই মেলে কাঙ্ক্ষিত আকারের জিলাপি।