আষাঢ়ের প্রথম দিনে সিক্ত সারাদেশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: আষাঢ়ের প্রথম দিনে গতকাল রোববারভ্যাপসা গরম তাড়িয়ে চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। তাঁতানো রোদ্দুর আর গুমট গরমের পর বিকেলে চুয়াডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় স্বস্তি নামে। তৃষ্ণাকাতর প্রকৃতি ফিরে পায় প্রাণের স্পন্দন। শিথিল করে প্রাণ-মন।প্রকৃতিতে গ্রীষ্মের রুদ্রদহন ছিন্ন করে আষাঢ়ের প্রথম দিবসটিতে প্রাণজুড়ানো বৃষ্টির ফোটায় কেউ কেউমনের আনন্দে ভিজে নিয়েছেন।
আবহাওয়াঅফিস বলেছে, যশোরে সর্বোচ্চ তাপ চড়েছিলো, আবার সেখানেই সর্বোচ্চ বৃষ্টিরেকর্ড করা হয়েছে ১৯ মিলিমিটার। আজও বৃষ্টি হতে পারে। গ্রীষ্মেরদাবদাহে অস্থির জনজীবনে ফিরতে পারে স্বস্তি। গতকাল চুয়াডাঙ্গায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৩৮ দশমিক ৬ এবং সর্বনিম্ন চট্টগ্রামে ২৪ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক শূন্য ও সর্বনিম্ন ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়াবিদদের মতে- বাংলাদেশে পা রেখেছে বর্ষা।আগামী ২১ জুন পর্যন্ত পশ্চিম লঘু চাপটি পশ্চিববঙ্গ ও তত্সংলগ্নএলাকায় অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশটি উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।দক্ষিণ-পশ্চিম মরসুমি বায়ু বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে এবংএ সপ্তাহে সারাদেশে বিস্তার লাভ করতে পারে। এ সময়ে রংপুর, সিলেট ও ঢাকাবিভাগের অনেক স্থানে এবং দেশের অন্যত্র কিছু স্থানে হালকা (৪ থেকে ১০মিলিমিটার) থেকে মাঝারি (১০ থেকে ১২ মিলিমিটার) বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতেপারে। সেই সাথে অস্থায়ী ও ঝড়ো হাওয়াসহ বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারীবৃষ্টি (২২ থেকে ৪৪ মিলিমিটার) হতে পারে। এ সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রাপ্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।