আলোচনায় চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক খাইরুল ইসলাম ও তার চাকরি

স্টাফ রিপোর্টার: জাল সনদ ধরাপড়ার পর বরখাস্ত? নাকি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরখাস্ত করতে পারে শঙ্কায় নিজেই চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন? চুয়াডাঙ্গার সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক খাইরুল ইসলামের চাকরি ছাড়া নিয়ে এসব প্রশ্ন দানা বেধেছে উৎসুক মহলে। তাকে নিয়ে সরব আলোচনাও শুরু হয়েছে পরিচিতি অপরিচিত মহলে।

খাইরুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের অফিস সহকারী। তিনি ঢাকার একটি পত্রিকার প্রতিনিধিও। সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিনি ২০০২ সালে কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। সম্প্রতি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানা যায়। শুধুই কি পারিবারিক ব্যস্ততা বা ব্যক্তিগত কারণে শিক্ষকতা চাকরি ছাড়া? এ নিয়ে প্রশ্ন দানা বাধে বিভিন্ন মহলে। বিশেষ করে শিক্ষা অনুরাগী সচেতনমহলে কৌতুহল ব্যাপকতা পায়। অনেকেই বলেন, খাইরুল ইসলাম শিক্ষকতা চাকরি পাওয়ার পর নানা অভিযোগে অভিযুক্ত হতে থাকেন। বিশেষ মহলের তদবিরে বারবারই তিনি ছাড় পেতে থাকেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে জাল সনদে শিক্ষকতা চাকরি নেয়ার অভিযোগ ওঠে বলে জোর গুঞ্জন শোনা গেলেও দায়িত্বশীল মহল থেকে তার সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। এরই মাঝে খবর রটে, নকল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করার কারণে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ৬ বিজিবির পরিচালক মোহাম্মদ আমির মজিদ তাকে বরখাস্ত করেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য একাধিকবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহজাবিনের সাথে যোগাযোগের জন্য ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকজন বলেছে, ওই স্যারকে নিয়ে ইতঃপূর্বে নানা ঘটনা ঘটেছে। নারীঘটিত ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার ঘটনাও ইতঃপূর্বে ঘটে। চাকরি থেকে অব্যাহতি নাকি বরখাস্ত সে বিষয়ে জানার জন্য খাইরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে কয়েক দফা তার মোবাইলফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তার এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে কোনো কিছু নয় পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে তিনি স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।