আলমডাঙ্গা দলিল লেখক সমিতির সম্পাদককে কুপিয়ে জখম

টাকার দাবিতে হামলা দাবি করলেও এ ঘটনাকে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে অনেকের মন্তব্য

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা দলিল লেখক সমিতির সম্পাদককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ সময় লিটন ও সুন্নত নামের আরও ২ জন দলিল লেখক আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস চত্বরে কাজ করার সময় গোবিন্দপুরের জাহিদ নামের এক যুবকের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীর অনেকে অভিযোগ করে। টাকা না দেয়ায় এ হামলা করা হয়েছে বলে সমিতির অনেকে দাবি করলেও শহরের অনেকে এ হামলার ঘটনাকে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস চত্বরে দলিল লেখার কাজ করছিলেন আলমডাঙ্গা দলিল লেখক সমিতির সম্পাদক আজিবর রহমান। এ সময় আলমডাঙ্গা পৌর কাউন্সিলর  গোবিন্দপুরের জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক গিয়ে তার ওপর চড়াও হয়। প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, কথাকাটির এক পর্যায়ে তারা আজিবর রহমানকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। দলিল লেখক গোবিন্দপুরের লিটন ও ওসমানপুরের দলিল লেখক সুন্নত আলী আহত হন। দলিল লেখক সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম গিয়ে দলিল লেখক আজিবার রহমানের নিকট টাকা দাবি করে। এক পর্যায়ে তার ওপর হামলা চালানো হয়। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সামান্য আহত ২ জন সুন্নত আলী ও লিটনকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত রক্তাক্ত আজিবার রহমানকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম বলেন, তার এলাকার একজনের জমি রেজিস্ট্রি করার দরকার। সে কারণে ওই ব্যক্তির সাথে জাহিদুল ইসলাম সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গেলে সমিতির নামে তাদের নিকট থেকে মোটাঅঙ্কের টাকা দাবি করা হয়। এই নিয়ে জাহিদুল ইসলামের সাথে সমিতির সম্পাদক আজিবার রহমানের কথাকাটি হয়। সে সময় জাহিদুল ইসলামকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে তিনি পৌরসভায় চলে যান বিশেষ প্রয়োজনে। এদিকে, জাহিদুল ইসলামকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার সংবাদ পেয়ে তাদের এলাকার কয়েক জন যুবক ক্ষুদ্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

আরও জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি আবারও আলমডাঙ্গায় দলিল লেখক সমিতি গঠন করা হয়েছে। জমি রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে সমিতির নাম করে প্রতি লাখে ১ হাজার ৫শ করে টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। এছাড়া খারিজবিহীন জমি দলিল প্রতি ৩ হাজার টাকা করে সমিতি হাতিয়ে নিয়ে অবৈধভাবে রেজিস্ট্রি করাচ্ছে বলে বেশ কিছুদিন ধরে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে তারা সমিতি গঠন করে কতিপয় প্রভাবশালী দলিল লেখক এ অপকর্ম করে আসছে। সমিতির নামে এমন অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয়া অব্যাহত থাকলে আরও রক্তক্ষয়ী ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন।