আলমডাঙ্গা খাদিমপুরের রফিকুলের সাপের দংশনে মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: দুই দফা ঝাঁড়ফুকের পর ঝাঁড়ফুক দিয়েও বাঁচানো গেলোনা চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার উপজেলার খাদিমপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামকে। অবশেষে গতকাল রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রফিকুল (৫০)।
জানা গেঝে, গতকাল সকাল ৯টায় তাকে গ্রামের কাঁঠালের দাড় মাঠের একটি পাটক্ষেতে কৃষিকাজ করছিলেন রফিকুল। এ সময় অসাবধানতবশন তাকে সাপে দংশন করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে একই গ্রামের কবিরাজ হাসেম আলীর কাছে নেয়। শুরু হয় ঝাঁড়ফুক। অনেকক্ষণ ধরে ঝাঁড়ফুকের পর কবিরাজ হাসেম আলী বলেন, রফিকুল এখন সুস্থ। সে মোতাবেক রফিকুলকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। দুপুরের পর আবারও তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর আবার নেয়া হয় মেহেরপুর বাড়াদির এক কবিরাজের কাছে। সেখানেও আবার দেয়া হয় ঝাঁড়ফুক। অবশেষে রফিকুলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। সেখানে ভর্তির পর দেয়া হয় ১০ অ্যাম্পুল এন্টিভেনম। এরপরও অবস্থার পরিবর্তন না হলে রাত ৮টার দিকে আরও ১০ অ্যাম্পুল এন্টিভেনম দেয়া হয়। অবশেষে রাত ১০টা ১৫ মিনিটের সময় মারা যান রফিকুল।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, রফিকুলকে সাপে দর্শনের পরপরই যদি সদর হাসপাতালে নেয়া হতো তাহলে হয়তো তিনি প্রাণে বেঁচে যেতেন।