আলমডাঙ্গা ওসমানপুর গ্রামের আদম ব্যবসায়ী আবুল দালালের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা ওসমানপুর গ্রামের আদম ব্যবসায়ী আবুল দালালের খপ্পরে পড়ে বিপদে পড়েছে ওই গ্রামের সরলসোজা ১০ যুবক। মালয়েশিয়ায় ভালো বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এদেরকে অবৈধভাবে থাইল্যান্ডে পাচার করার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, ওসমানপুর মাঠপাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুল আলিম ওরফে আবুল দালাল একই গ্রামের হাতিপাড়ার ১০ যুবককে মালয়েশিয়ায় ভালো বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধভাবে নিয়ে যায়। এরা হলেন- ইব্রাহিম হাতির ছেলে টোকন (১৮), বজলু হাতির ছেলে সাহাবুল (২২), মৃত বিল্লাল হাতির ছেলে কুদ্দুস হাতি (৩৯), আবুল হাতির ছেলে মিনা হাতি (২৩), মারজুল আলির ছেলে শরিফুল(২৫), আতি শেখের ছেলে মিনা শেখ(২৩), সমের শেখের ছেলে সেলিম শেখ(২৮), রুহুলের ছেলে সাকিল ফটিক(১৭), রেজাউল ফটিকের ছেলে কালাম ফটিক(১৭) ও বেগমের ছেলে সোহাগ। টোকন ও সাহাবুলকে প্রায় ২০ দিন আগে সমুদ্রপথে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অন্যান্যদেরও একইপথে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে মালয়েশিয়ার পরিবর্তে থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাকিদের সাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও গ্রামবাসী জানিয়েছেন। গ্রামের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, ১০ যুবকের কারো পাসপোর্ট ও ভিসা নেই। এরপরও প্রত্যেকের নিকট থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়ে বলা হয়েছে পাসপোর্ট প্রয়োজন নেই। যাদেরকে ইতোমধ্যে থাইল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে টোকন হাতি ও সাহাবুল হাতি মাঝেমধ্যে বাড়িতে ফোন করে। তারা জানিয়েছে, তারা থাইল্যান্ডের এক জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে। প্রায় ১শ জন আছে। খেয়ে না খেয়ে কোনো রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে রেখেছে। বাইরে বের হলেই পুলিশ গ্রেফতার করবে সেই ভয়ে বাইরে বের হতে পারে না, কতোদিন থাকতে হবে তাও জানে না। বাকি যাদের সমুদ্র পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তারা আদৌ মালয়েশিয়া পৌঁছতে পারবেন কি-না আবার সেখানে অবৈধভাবে অবস্থান করে কাজ করতে পারবেন কি-না তা তাদের পরিবারও জানেনা। এদের পিতা মাতা, আত্মীয় স্বজন এখন আশঙ্কায় উৎকণ্ঠিত।

এদিকে কথিত দালাল আব্দুল আলিম ওরফে আবুল দালাল তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এমনকী তার গ্রামের ১০ যুবকের বিদেশ যাওয়ার বিষয়েও তিনি কিছুই জানেন না বলে উল্লেখ করেছেন। তবে গ্রামের অনেকেই জানিয়েছেন, আবুল দালালই শুধু এ অপকর্মে জড়িত নয়, তার গডফাদার হারদী গ্রামের চিহ্নিত একজন ও যাদবপুরের ইউরোপ প্রবাসী এক প্রভাবশালী ব্যক্তি এ অপকর্মের সাথে জড়িত।