আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হারদী হাসপাতাল দুর্নীতির আখড়া

 

 

 

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি:আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খেয়াল খুশি মতো চালানো হচ্ছে। এ হাসপাতাল দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে অনেকেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠেছে ভুয়া বিল ভাউচার করে হাজার হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগেরও অন্ত নেই। এখানকার জুনিয়র ম্যাকানিক ফরজ আলী ভুরি ভুরি ভুয়া বিল দাখিল করে লাগাতারভাবে টাকা আত্মসাৎ করছেন। যা তদন্ত করলেই ধরা পড়বে বলে ভুক্তভোগী মহল মনে করে।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র ম্যাকানিক ফরজ আলী গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৬৩ হাজার ৮০৭ টাকার ভুয়া বিল দাখিল করে টাকা উত্তোলন করেছেন। এর মধ্যে ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যুত লাইন মেরামত বাবদ খরচ দেখানো হয় ১৪ হাজার ৪০৫ টাকা। ৭ অক্টোবর জ্বালানি, গ্রিস গেলন প্যাক ক্রয় বাবদ ৪ হাজার ৭শ টাকা। ২৩ অক্টোবর পাইপ মেরামত খরচ দেখানো হয় ২ হাজার ৯৯০ টাকা। ৬ নভেম্বর ল্যাবরুমের বিদ্যুত মেরামত ৪ হাজার ৭শ টাকা। ১৭ ডিসেম্বর পানির ট্যাংক পরিষ্কার দেখানো হয়। এর খরচ দেখানো হয়েছে ৫ হাজার ১শ টাকা। এ বছরের ৬ জানুয়ারি ফুল বাগানের লাইট মেরামত ৫ হাজার ২২০ টাকা। ৮ জানুয়ারি আইপিএসের ব্যাটারি মেরামত বাবদ ১ হাজার ৯৭৫ টাকা। ২৭ জানুয়ারি বিদ্যুত লাইন মেরামত খরচ ৩ হাজার ৪৫ টাকা। ১৭ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুত লাইন মেরামত ৩ হাজার ৬৯৪ টাকা। ১৫ মার্চ বিদ্যুতের মেন সুইচ মেরামত বাবদ ৫ হাজার ৬০৮ টাকা। ৩০ মার্চ পানির লাইন মেরামতের জন্য ২ হাজার ৩৪৫ টাকা। ২৭ মে গ্রিস গেলন প্যাকিং বাবদ ৪ হাজার ৪৭৫ টাকা। ২৯ মে পাম্প মেশিন মেরামত বাবদ ৫ হাজার ৫০৫ টাকা।

অভিযোগকারীরা জানান, জুনিয়র ম্যাকানিক ফরজ আলীর বাড়ি হারদী হওয়ায় প্রভাব বিস্তার করে কর্তৃপক্ষের যোগসাযশে ভুয়া বিল ভাউচার দাখিল করে টাকা উত্তোলন করেন। হাসপাতালের অনেকেই বিষয়টি জানলেও মুখ খুলতে সাহস পান না। তবে ফরজ আলীকে দিয়ে স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আবু মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম এসব ভুয়া বিল ভাউচার করিয়ে নেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ফরজ আলী ইচ্ছে করেই হাসপাতালের অনেক যন্ত্রপাতি বিকল করে রাখেন। পরবর্তীতে মেরামতের নামে বিল ভাউচার দাখিল করেন বলেও কেউ কেউ অভেযোগ করেন। অভিযোগকারীরা জানান, ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ২৯ মে পর্যন্ত ফরজ আলী ৬৩ হাজার ৮০৭ টাকার যে সব বিল ভাউচার দাখিল করে টাকা নিয়েছেন তার অধিকাংশই ভুয়া। তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়বে বলে অভিযোগকারীরা জানান। এ ব্যাপারে ডা. আবু মোহাম্মদ জহুরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওসব কিছু ফরজ আলী জানে। ভুয়া বিল ভাউচারের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবে বলে ভুক্তভোগীদের দাবি।