আলমডাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের সংবাদ সম্মেলনের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন  

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে অনিয়ম ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ এনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুলতান জোয়ার্দ্দারের সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত অভিযোগের ব্যাখা চেয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামাল উদ্দিন। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মৃত মইজুদ্দিন বিশ্বাস ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন আনসার সদস্য। চুয়াডাঙ্গা আনসার ক্যাম্পে আমি তার প্রশিক্ষক ছিলাম। তিনি প্রথমে কুষ্টিয়ায় প্রতিরোধ যুদ্ধে এবং পরবর্তীতে আমার অধীনে থেকে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। আলমডাঙ্গা আক্রমণের পূর্বে আমরা তার বাড়িতে অবস্থান করি। সেখানে ৩ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আলমডাঙ্গা আক্রমণ করি। আমি যুদ্ধে আহত হলে তিনি আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরে হানাদার বাহিনীর পাল্টা আক্রমণ করলে তিনি তাদের হাতে ধরা পড়েন। তারা মইজুদ্দিন বিশ্বাসকে নির্মম অত্যাচার শেষে গুলি করে হত্যা করে। দেশ স্বাধীন হলে তার স্ত্রী নুরজাহান বেগমকে সমবেদনা জানিয়ে ২ হাজার টাকা ও আত্মত্যাগের জন্য শহীদের স্বপক্ষে একটি সনদ প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকেও অনুরূপ পত্র দিয়েছিলো। তাহলে কীভাবে তিনি স্বাধীনতা বিরোধী? উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুলতান জোয়ার্দ্দার সংবাদ সম্মেলনে যে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং সফিউর রহমানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। একটু খতিয়ে দেখলেই তার প্রমাণ মিলবে। মইজুদ্দিন বিশ্বাসকে স্বাধীনতা বিরোধী বলার স্বপক্ষে ব্যাখ্যা চান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আলমডাঙ্গা উপজেলা ও ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২০ মে আলমডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে অনিয়ম ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ এনে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুলতান জোয়ার্দ্দার।