আলমডাঙ্গা উপজেলা কেন্দ্রীয় ইউসিসিএ লিমিটেডের নির্বাচন কমিটির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা ইউসিসিএ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও অবৈধভাবে প্রার্থীতা বাতিলের প্রতিবাদে  হায়দার আলী ও জাহান আলী যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল বেলা ২টার দিকে আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবে  এ সংবাদ  সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পঠিত লিখিত অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, আলমডাঙ্গা ইউসিসিএ লিমিটেডের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। তিনি নির্বাচনকে এক তরফা করে একজনকে বিজয়ী করার পায়তার করছেন। নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী মুহিদুল হক মুহিদ এবং নির্বাচন কমিশনা কমিটির সভাপতি চুয়াডাঙ্গা জেলা সমবায় কার্যালয়ের পরিদর্শক নজির হোসেনের যোগসাজসে ইতঃপূর্বে ২ বার নির্বাচনে একতরফা প্রার্থী হিসেবে মুহিদকে নির্বাচনে জয়লাভ করায়। এবারের নির্বাচনেও বিতর্কিত ব্যক্তি নজির উদ্দিনকে সভাপতি ও মুহিদের আপন ভাই হামিদুল ইসলামকে সদস্য করে প্রাতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করে মুহিদুল হক মুহিদকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। তাদের যোগসাজসে এবারও মুহিদুল হক মুহিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় তারা (হায়দার আলী ও জাহান আলী) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইউসিসিএ লিমিটেডের নির্বাচন কমিটির কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানতে চেয়েছেন- আলমডাঙ্গা পল্লি উন্নয়ন অফিসের কাছে গত পরশু ২৯ মে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা চাইলে তারা লিখিতভাবে জানান, সংশ্লিষ্ট অফিসে কোনো লিখিত ভোটার তালিকা নেই। যেখানে ভোটার তালিকা নেই, কোনো ভোটারতালিকা বলে নির্বাচন কমিটি নির্বাচন করতে যাচ্ছে? লিখিত বক্তব্যে তারা দাবি করেছেন, বিতর্কিত নির্বাচন কমিটি বাতিল করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে পুণরায় নির্বাচন করার। তার ব্যত্যয় ঘটলে তারা আদালতে শরণাপন্ন হবেন বলে উল্লেখ করেছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে জামজামি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, পাঁচলিয়া ইউসিসিএ লি. সমিতির সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী একজন স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত সমিতির সদস্য। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলা ইউসিসিএ লিমিটেডের নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলে তিনি (নজরুল ইসলাম) নিজে হায়দার আলীকে সাথে নিয়ে নির্বাচন কমিটির সভাপতি নাজির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করেন এবং হায়দার আলীকে নির্বাচনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখান। নির্বাচন কমিটির সভাপতি তার সমস্ত কাগজপত্র দেখে সঠিক আছে বলে জানিয়েছিলেন। তারপর হায়দার আলীর কাগজপত্র নির্বাচন কমিশনের নিকট জমা দেন। কিন্তু বিতর্কিত নির্বাচন কমিটি হায়দার আলীর মনোনয়ন অবধৈ বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।