আলমডাঙ্গায় মারধর করে ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার মামলা তুলে না নেয়ায় আবারও হামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় মারধর করে ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার মামলা তুলে না নেয়ায় আবারও হামলার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আলমডাঙ্গার এরশাদপুরের মিনহাজ উদ্দীনের ছেলে রুস্তম আলী। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে পঠিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, রুস্তম আলীর ভাইরা মিরপুর উপজেলার কুন্টিয়ারচর গ্রামের মৃত মসলেম উদ্দীনের ছেলে কামরুজ্জামানের আলমডাঙ্গাস্থ রিয়াদ কমপ্লেক্সে সেতু বস্ত্রালয় নামে একটি গার্মেন্টস ছিলো। সেখানে রুস্তম আলী কর্মচারী হিসেবে বেঁচাকেনা করতেন। ৫ বছর আগে দোকান মালিক কামরুজ্জামান আলমডাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক মজনুর রহমানের স্ত্রী চুমকির নিকট থেকে প্রতি মাসে লাখে ৮ হাজার টাকা সুদে মোট ৩ লাখ টাকা গ্রহণ করে। গত ৫ বছরে ৩ লাখের বিপরীতে প্রতি মাসে কামরুজ্জামান চুমকি খাতুনকে ২৪ হাজার করে টাকা পরিশোধ করে আসছে। এদিকে প্রতি মাসে বিপুল অঙ্কের টাকার সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ব্যবসায় লোকসান হচ্ছিলো। সে কারণে একই মার্কেটের শিউলী বস্ত্রালয়ের মালিকের নিকট কামরুজ্জামান মালামালসহ তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। গত ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় দোকান বিক্রির ৫ লাখ টাকা নিয়ে নিজ বাড়িতে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হবে বিবেচনা করে ৫ লাখ টাকার পুরোটা রুস্তম আলীর নিকট রেখে বাড়ি চলে যান। রুস্তম আলী টাকা নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে তাকে মজনুর রহমান মোবাইলফোনে আলিফ উদ্দীন সড়কের প্রদীপের দোকানে ডাকেন। টাকাসহ রুস্তম আলী সেখানে মজনুর রহমানের সাথে দেখা করতে গেলে মজনুর রহমান এবং তার স্ত্রী চুমকি খাতুন ৫-৬ জন তাকে বেদম মারধর করে ভাইরার দোকান বিক্রির ৫ লাখ টাকাসহ তার নিজের আরও ১৪ হাজার টাকা ছিনতাই করে নেয়। এ ঘটনায় ওই রাতেই আলমডাঙ্গা থানায় কয়েক জনের নাম উল্লেখপূর্বক থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা রুস্তম আলীকে নানা হুমকি দিচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে রুস্তম আলী রিয়াদ কমপ্লেক্সে চাকরির জন্য কয়েক দোকানে যোগাযোগ করতে গেলে আসামিরা মামলা তুলে নেয়ার দাবি তুলে সে সময় আবার তাকে মারধর করেছে। বর্তমানে রুস্তম আলী চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে উল্লেখ করে তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।