আলমডাঙ্গায় মাদরাসাছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ মামলা : মাদরাসা কমিটির সদস্য কলম গ্রেফতার

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার নওলামারী আলিম মাদরাসার সাবেক সদস্য কলম আলীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। দরিদ্র অসহায় পরিবারের মাদরাসাছাত্রীকে তুলে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

জানা গেছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে আলমডাঙ্গা তিয়রবিলা ক্যাম্পের আইসি এসআই বিল্লাল হোসেন ও এএসআই আব্দুল হাই অভিযান চালিয়ে আলমডাঙ্গার নওলামারী গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে কলম আলীকে গ্রেফতার করেন। মাদরাসা ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আটকে রেখে ধর্ষণ মামলা ও মামলার সাক্ষীদের মারধর ও হুমকি দেয়ার অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

অসহায় ছাত্রী ও তার পরিবারসূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার নওলামারী গ্রামের মেয়ে আলিম মাদরাসার ১০ শ্রেণির ছাত্রী। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার ওপর কুনজর পড়ে মাদরাসা কমিটির প্রভাবশালী সদস্য কলম আলীর। কলম তার লালসা চরিতার্থ করতে সাথে নেন বন্ধু একই গ্রামের হামিদ মাস্টারকে। আব্দুল হামিদ ঘোলদাড়ি বাজার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। দুই বন্ধু বিভিন্ন সময়ে তাকে লালসার শিকারে পরিণত করতে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। তাদের পাতা ষড়যন্ত্রের জালে পিতাহীন দরিদ্র পরিবারের মেয়ে এক সময় ফেঁসে যায়। প্রথম প্রথম সে সাহস করে গ্রামের অত্যন্ত প্রভাবশালী ওই দুজনকে এড়িয়ে চলতো। কিন্তু কতো দিন আর! এক পর্যায়ে দুই সন্তানের জনক কলম তার বন্ধু হামিদ মাস্টারকে ছাত্রীর বাড়িতে পাঠায় বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে। এতেও রাজি না হলে ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। ছাত্রীকে তুলে নিয়ে কলম আলী চুয়াডাঙ্গার সুবদিয়ায় তার এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় বাড়িতে নিয়ে তোলে।

ছাত্রী জানায়, হামিদ মাস্টার তার নিজের মোটরসাইকেলে তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলো সুবদিয়ায়। কলম ওই বাড়ির একটি ঘরে রাতভর তাকে ধর্ষণ করে। এরপর থেকে ওই বাড়ির একটি ঘরে সাত দিন ধরে তাকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। রাত হলেই চলে পাশবিক নির্যাতন।