আলমডাঙ্গায় বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ অবমাননাকারীদের শাস্তির

 

দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভের প্রতি অসম্মান ও অবমাননাকারীর গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র ও অনলাইন সংবাদপত্র সাম্প্রতিকী ডটকম ও  স্বয়ম্ভর লাইব্রেরির আয়োজনে এই স্মারকলিপি প্রদানকালে আলমডাঙ্গার বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান সরকারি কাজে বাইরে অবস্থান করায় নির্বাহী অফিসারের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন উপজেলা পরিষদের নাজির আশরাফুল হক।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিতে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, লাখ শহীদের আত্মদান আর এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন স্বদেশ অর্জন করেছি। লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন গর্বিত জাতির স্বীকৃতি পেয়েছি, পেয়েছি আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার। দেশের অন্যান্য বধ্যভূমির সাথে সাথে আলমডাঙ্গা বধ্যভূমিও আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ইতিহাসের গৌরবময় প্রতীক। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঙালি জাতির চূড়ান্ত আত্মবিসর্জনের চিরন্তন স্মারক। সর্বপরি আমাদের গর্বের প্রতীক।  দ্রুত গ্রেফতারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় স্মারকলিপিতে। উপস্থিত ছিলেন শুদ্ধ সংষ্কৃতি চর্চাকেন্দ্রের সভাপতি আতিকুর রহমান ফরায়েজী, সাধারণ সম্পাদক ও সাম্প্রতিকী ডট কমের সম্পাদক রহমান মুকুল, সহসভাপতি গল্পকার পিন্টু রহমান, সাংবাদিক খন্দকার শাহ আলম মন্টু, হামিদুল ইসলাম আজম, প্রশান্ত বিশ্বাস, ফিরোজ ইফতেখার, শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্রের যুগ্মসম্পাদক ও আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক তাপস রশীদ, স্বয়ম্ভর লাইব্রেরির সভাপতি ও আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর সাঈদ মাহমুদ হিরণ, প্রাইম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষক এমদাদ হোসেন, উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি রেফাউল হক, শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্রের ক্রীড়া সম্পাদক সোহেল রানা শেখ, অনলাইন সাম্প্রতিকী ডট কম পত্রিকার সহ-বার্তা সম্পাদক ও সংগঠনের দফতর সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রোকন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মাহফুজুর রহমান জুয়েল, কার্যকরি সদস্য সাংবাদিক জুলকার নাঈন জাকারিয়া হায়দার প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, আলমডাঙ্গার বধ্যভূমিতে নির্মিত বীরঙ্গনা নারীদের ভাস্কর্যের সঙ্গে আপত্তিকর ভঙ্গিতে ছবি তুলে কতিপয় যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে আলমডাঙ্গায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।