আলমডাঙ্গায় গ্রামীণফোনের লটারি কথা বলে ৬২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকচক্র

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় আবারও বিকাশ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। ১২ লাখ টাকার লটারি বেঁধেছে বলে প্রতারণার ফাঁদ ফেলে ফরিদপুর গ্রামের এক দোকান কর্মচারীর নিকট থেকে ৬২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকচক্র।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার ফরিদপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে রকিবুল ইসলাম (২৭) আলমডাঙ্গা শহরের এক দোকানে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রফিকুল ইসলামের ০১৭৬৬১৬৬০৮৬ নং সিম সংবলিত মোবাইলফোনে ০১৭৫২৫৭৪৩৩৭ নং থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি নিজেকে গ্রামীণফোনের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে টোপ ফেলেন। প্রতারক মোবাইলে জানান রফিকুল ইসলামের লটারি বিজয়ের ১২ লাখ টাকা গ্রামীণ ফোন কর্তৃপক্ষ দিতে চায়। এ জন্য তাকে কিছু টাকা বিকাশ করতে পরামর্শ দেন। তার পরামর্শ মতে রফিকুল আলমডাঙ্গা শহরের গার্মেন্টস পট্টির মেহেদী বস্ত্রালয় ও টেলিকমে যায়। সেখানে গিয়ে রফিকুল ইসলাম তার দোকান মালিকের নাম করে মোট ৬টি নাম্বারে পৃথকভাবে ৬২ হাজার টাকা বাকিতে বিকাশ করে। যে সকল নাম্বারে তিনি বিকাশ করেছেন সেগুলি হলো ০১৭০৭৬১৭৯৮৩, ০১৭০৭৯৮৭৪৪২, ০১৭৮৪৩১১৫৮৬, ০১৭৯০৬৭১০৮১, ০১৭৩০১৮২২৮৮ ও ০১৮৮৫৭২১০০৩। বিকাশ করার পর আর ওই নম্বরগুলি খোলা পাওয়া যায়নি। ৬২ হাজার টাকা বিকাশ করার পর রফিকুল ইসলাম বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন। পরে সন্ধ্যায় তাতিশেডে এই নিয়ে সালিস বৈঠক বসে। রফিকুল ইসলাম নিজেই ওই প্রতারণাচক্রের সাথে সম্পৃক্ত বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।