আলমডাঙ্গার সেলিম মাস্টার আবারও গ্যাঁড়াকলে : প্রাইভেট ছাত্রীসহ পুলিশে সোপর্দ

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: স্কুলছাত্রীসহ আবারও গ্যাঁড়াকলে সেলিম মাস্টার। গতকাল দুপুরে আলমডাঙ্গা শহরের একটি দোকান থেকে স্কুলছাত্রীসহ তাকে আটক করে জনতা থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার মোড়ভাঙ্গা গ্রামের আবু দাউদের ছেলে সেলিম হোসেন উপজেলার বাদেমাজু বাদল স্মৃতি একাডেমির শিক্ষক। তিনি বেশ কয়েক মাস আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুরে বাড়ি ভাড়া করে অবস্থান করেন। ওই বাড়িতে তিনি প্রাইভেটও পড়াতেন। প্রাইভেট পড়ানোর সূত্র ধরে গোবিন্দপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৭ এপ্রিল দুপুর বেলা সেলিম হোসেন জনশূন্য ভাড়াবাড়িতে প্রাইভেট ছাত্রীর সাথে রঙ্গলীলায় মত্ত থাকা অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে। সে সময় সেলিম হোসেনকে উত্তমমধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। গতকাল দুপুরে আলমডাঙ্গা শহরের হাফিজ মোড়ের একটি দোকান থেকে স্থানীয় জনতা প্রেমিকা প্রাইভেট ছাত্রীসহ সেলিম হোসেনকে আবারও আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে।

প্রত্যক্ষদর্শিরা জানিয়েছেন, স্কুলছাত্রী তার মায়ের সাথে হাফিজ মোড়ে ডাক্তারের নিকট যাচ্ছিলো। সে সময় দেখতে পাই সেলিম হোসেন সাইকেল চড়ে পশুহাটের দিকে যাচ্ছে। ওই ছাত্রী সেলিম হোসেনকে থামতে বললে তিনি আরও দ্রুত সাইকেল চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। ওই ছাত্রী সাইকেলের পিছু দৌঁড়াতে থাকে। ভীড়ে দ্রুত সাইকেল চালানো সম্ভব না হলে সেলিম মাস্টার রোডের ওপর সাইকেল ফেলে রেখে চলন্ত পাখি ভ্যানে উঠে বসে। তবুও শেষ রক্ষা হলো না তার। স্কুলছাত্রী ধরে ফেলে সেলিম মাস্টারকে। তার থেকে বাঁচতে সেলিম হাফিজমোড়ের এক দোকানে ঢুকে পড়েন। স্থানীয় উৎসুক জনতা ঘিরে ধরে দোকান। সে পরিস্থিতিতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেলিম হোসেন প্রেমের সম্পর্কের যে গভীরতা সৃষ্টি করেছেন তা চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে সকলকে জানায় ওই ছাত্রী। এক পর্যায়ে প্রেমিকাসহ সেলিম হোসেনকে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।