আলমডাঙ্গার রোয়াকুলিতে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অপচেষ্টার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ইউএনও

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার রোয়াকুলি গ্রামে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অপচেষ্টার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আলমডাঙ্গা উপজেলার নবাগত নির্বাহী অফিসার। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িতে যান।
জানা গেছে, দগ্ধ গৃহবধূ আলিফা খাতুন (২৩) আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ রোয়াকুলি গ্রামের মসজিদপাড়ায় খালিদ হাসান সুমনের স্ত্রী। গত প্রায় ২ বছর পূর্বে সুমন একই উপজেলার চিৎলা গ্রামের কিতাব আলীর মেয়ে আলিফা খাতুনকে বিয়ে করে। তাদের রয়েছে ১১ মাস বয়সী এক ফুটফুটে সন্তান। বিয়ের সময় কন্যাপক্ষ ৩ লাখ টাকা যৌতুক দেয় বলে জানা যায়। ওই যৌতুকের টাকা দিয়ে সুমন বিজিবিতে চাকরি নিয়েছিলো। অভিযোগ উঠে স্বামীর অবর্তমানে বেশ কিছুদিন ধরে যৌতুকের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আলিফা খাতুনকে নির্যাতন করতো। বিষয়টি জানার কিছুদিন আগে আলিফা খাতুনের পিতা-মাতা মেয়েকে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। কয়েকদিন আগে খালিদ হাসানসহ তার পরিবারের লোকজন চিৎলা গ্রামে মেয়ের বাবার বাড়িতে যায়। তারা আলিফা খাতুনকে এক পর্যায়ে আবারও বাড়িতে নিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার সকালে শাশুড়ি লালিয়া খাতুন যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের এক পর্যায়ে আলিফা খাতুনের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে নির্যাতিতা গৃহবধূ অভিযোগ করেন। গৃহবধূর চিৎকারে গ্রামবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সে সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার করেন। গৃহবধূর শরীরের ৬০ ভাগ অংশ অগ্নিদগ্ধ হয়। আটক শাশুড়ি লালিয়া খাতুন গৃহবধূর ওপর মাঝে মধ্যে অত্যাচার করতো বলে প্রতিবেশিদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ওই দিনই অভিযুক্ত শাশুড়িকে আটক করে।
গতকাল শনিবার বিকেলে বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িতে যান। সে সময় তিনি অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর শ্বশুর আয়নাল আলীর সাথে কথা বলেন। বিস্তারিত ঘটনা শোনেন।