আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে গৃহকর্মীকে পিটিয়ে জখম

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জ বাজারের হাসপাতালপাড়ায় বাড়ির কাজের মেয়ে চাঁদনীকে পিটিয়ে জখম করেছে গাড়িচালক রুপস ও তার বোন মনিরা। সালিস বৈঠকের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ হাসপাতালপাড়ায় বাড়ির কাজের মেয়েকে পিটিয়ে জখম করে গাড়িচালক রুপস। এলাকাবাসী জানায়, গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে মুন্সিগঞ্জ হাসপাতালপাড়ার তাইমনের ছেলে গাড়িচালক রুপস নতিডাঙ্গা গ্রামের করিমের মেয়ে গৃহকর্মী মেয়ে চাঁদনীকে (১১) ডিম ভাজতে বলে। সে ডিম ভাজতে গিয়ে ডিম পুড়িয়ে ফেলে। ডিম পোড়ানো দায়ে কাজের মেয়েকে রুপস (৩০) ও তার বোন মনিরা (৪০) লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। এ সময় গৃহকর্মী চাদঁনী প্রাণ বাঁচাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় রুপস মুন্সিগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের কাছ থেকে তাড়িয়ে ধরে আবারও মারধর করে। গৃহকর্মী চাঁদনী চিৎকার করতে থাকে। এলাকাবাসী তাকে উদ্বার করে চাঁদনীর বাড়িতে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে তার পিতাসহ নিকটাত্মীয়রা মুন্সিগঞ্জ হাসপাতাল মোড়ে উপস্থিত হয়ে বিচারের দাবি তোলে। এ সময় মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের আইসি এএসআই মিজান উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মুন্সিগঞ্জ হাসপাতাল মোড়ে সালিস বৈঠকে রুপসকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. হুমায়ন কবীর, জেহালা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রোকন, বাড়াদী ইউপি চেয়ারম্যান তোবারক হোসেন, জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্মআহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, মতিয়ার রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হক, মইন, হিরালালসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।