আলমডাঙ্গার বাড়াদি ইউনিয়নের সরকারি কাজির বিরুদ্ধে কৌশলে পুত্রবধূ তালাক করানোর অভিযোগ

আসমানখালী প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার বাড়াদি ইউনিয়নের কাজী ফারুখ হোসেনের বিরুদ্ধে কৌশলে গৃহবধূকে তালাক দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গতকাল বুধবার গাংনী ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৯ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার পাটিকাবাড়িয়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া মাচপাড়ার গ্রামের কলম আলীর কন্যা সাবিনা খাতুনের সাথে বাকিতে ১ লক্ষ টাকা দেনমোহরে, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের ফুলবগাদি গ্রামের মান্নান হোসেনের ছেলে সোহেল রানার সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর পুত্রবধূ বাড়িতে এলে কিছু ক্ষোভ থেকে যায়। পরে মন কষাকষি ছেলেকে বুঝিয়ে গত দু’সপ্তাহ আগে পুত্রবধূকে নিয়ে বাড়াদি ইউপি সরকারি কাজি ফারুখ হোসেনের কাছে নিয়ে যায় এবং বলে দেনমোহরের টাকার পরিমাণ কমিয়ে নগদে পরিশোধ করে সংসার করতে হয়। নতুবা স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক মেলামেশা ইসলাম ধর্মে হারাম হয়। এ কথার দোহায় দিয়ে পুুত্রবধূকে নিয়ে বাড়াদি ইউপি কাজি ফারুখ হোসেনের কাছে নিয়ে যায় এবং ১ হাজার ১টাকা দেনমোহর পরিশোধ করে। এ সময় কাজির তালাক নামার বইতে স্বাক্ষর করে নিয়ে পুত্রবধূকে তার বাবা বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার নাম করে রেখে আসে। দুসপ্তাহ পরে তার তালাকনামা কাগজ মেয়ের পিতার বাড়িতে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে পৌঁছায়। এ বিষয়ে গতকাল বুধবার মেয়ের পরিবারের লোকজন বেলা ১১টার দিকে এসে গাংনী ইউনিয়ন পরিষদে ফুলবগাদি গ্রামের মান্নান ও তার ছেলে সোহেল রানা এবং বাড়াদি ইউপি কাজি ফারুখ হোসেনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ করে।