আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা গ্রামে বাল্য বিয়ের বলি হচ্ছে হাসান ও দিপা: আজ যে কোন সময় গোপনে বিয়ে

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা ব্রিজপাড়ার ৯ম শ্রেণির ছাত্র কিশোর হাসান ও একই গ্রামের ৮ম শ্রেণির মাদরাসা ছাত্রী কিশোরী উম্মে হাবিবা দিপার বিয়ে আজ। গতকাল পারিবারিকভাবে গোপনে বিয়ের আয়োজন করা হয়। মেয়েপক্ষ বিয়ের দেনমোহর ২ লাখ টাকার কাবিন ও ছেলেপক্ষ ৫০ হাজার টাকার কাবিন নিয়ে গণ্ডগোলের কারণে সাময়িকভাবে বিয়ে ভেস্তে যায়। আজ শনিবার যেকোনো সময় বিয়ে হতে পারে বলে গ্রামবাসী জানিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলার সবচেয়ে বাল্যবিয়ের গ্রাম হিসেবে পরিচিত আলমডাঙ্গার বাড়াদী ইউনিয়নের নতিডাঙ্গা। বাল্যবিয়ে পড়ানোর দায়ে এ আগে ফারুক কাজির ভ্রাম্যমাণ আদালত কারাদণ্ড দেন।

গ্রামসূত্র জানায়, গতকাল শুত্রুবার দুপরে নতিডাঙ্গা গ্রামের ব্রিজপাড়ার সাহাবুলের মেয়ে দিপা (১৪) ও নাসির উদ্দিনের ছেলে হাসানের (১৫) পারিবারিকভাবে বিয়ের আয়েজন করা হয়। কোনো প্রকার ঢাক ঢোল না পিটিয়ে অতি গোপনে বিয়ের জন্য ডাকা হয় কাজি। মেয়েপক্ষ দাবি করে ২ লাখ টাকা দেনমোহর। ছেলেপক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরের কাবিননামা করতে চাইলে বিয়ে ভেঙে যায়। গতকাল দিনব্যাপী চলে দেনমোহর নিয়ে চলে দরকষাকষি। কতো টাকায় দেনমোহর ঠিক হয়েছে তা জানা না গেলেও সূত্র জানায়, আজ শনিবার যেকোনো সময় বিয়ে হতে পারে। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের কাজি নতিডাঙ্গা হাফেজিয়া মাদারসার হাফেজ ফারুক হোসেন জানান, আমাকে বিয়ে পড়ানোর জন্য ডাকা হয়েছিলো। ছেলে-মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বিয়ে না পড়িয়ে চলে আসি। মোবাইলফোনে বাড়াদী ইউপি চেয়ারম্যান তবারক হোসেনের কাছে জানতে চেয়ে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেছে গ্রামের ফারুক কাজি, মসজিদের ইমাম ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ মেম্বারদের সহযোগিতায় গ্রামে প্রায়ই বাল্যবিয়ে হয়ে থাকে।