আলমডাঙ্গার ডাউকি বশিরা মালিক হাইস্কুলের সহকারী গ্রন্থাগারিকের কাণ্ড

 

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার ডাউকি বশিরা মালিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক আব্দুস সাত্তার গেদু বেকায়দায় পড়েছেন। তিনি এসএসসি ফেল করা শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেয়ার নাম করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেও তা হজম করতে পারছেন না। কোন ক্ষমতাবলে ফেল করা ছাত্রদের পাস করানোর জন্য টাকা আদায় করেছেন তা নিয়ে অভিভাবক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গেদু অনেক সাংবাদিককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করলেও শেষমেশ তা রক্ষা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনার ঝড় উঠেছে। অভিযুক্ত গেদুর বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিয়ে তার পক্ষে সাফাই গাইছে বলেও অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। আর ফেল করা ছাত্ররা গেদুর বিচারের দাবি তুলেছে।

অভিযোগকারীরা জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি বশিরা মালিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ছাত্র এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিষয়ে ফেল করে। যশোর শিক্ষাবোর্ডে ঘুষ দিয়ে তাদেরকে পাস করিয়ে দেয়ার কথা বলে ওই স্কুলের সহকারী গ্রন্থাগারিক আব্দুস সাত্তার গেদু ছাত্র প্রতি ১০ হাজার টাকা করে চুক্তি করেন। তাদের পাস করিয়ে দেয়ার কথা বলে প্রত্যেক ছাত্রপ্রতি অগ্রিম ৪ হাজার টাকা করে গ্রহণ করেন।তিনি ছাত্রদের বলেন তার এক বন্ধু শিক্ষাবোর্ডের কর্মচারী তাকে ঘুষ দিয়ে পাস করিয়ে দেবো। কিন্তু বিধিবাম। আজ-কাল করে করে ঘোরাতে ঘোরাতে টাকা দেয়া ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা টাকা ফেরত চাইলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। ডাউকি গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে শাহিন,ছানোয়ারের ছেলে রুবেল,জাকির হোসেনের ছেলে রাসেল, ভোলার ছেলে আলমগীর ওমাধবপুর গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন ছাত্র অভিযোগ করে বলেছে আব্দুস সাত্তার গেদু স্যার আমাদের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। পাস করিয়ে দিলে আরো ৬ হাজার টাকা করে দিতে হতো। কিন্তু উনি এখন টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না, পাসও করিয়ে দিতে পারলেন না। ওই ছাত্ররাসহ অভিভাক মহল অভিযুক্ত সহকারী গ্রন্থাগারিকের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক শাস্তি দাবি করেছেন।