আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়ন পরিষদে এখতেয়ার বহির্ভূত ৭৫ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে মামলা নিস্পত্তি : শালিস সংক্রান্ত মামলার আপিল

স্টাফ রির্পোটার: আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নে রোয়াকুলি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের দায়ের কৃত মামলার নিস্পত্তিকৃত মামলা (নম্বার বিহীন) আপিল করেছে একই গ্রামের দৌলত ম-ল। আপিলে বলা হয়েছে চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও বাদীর যোগসাজশে সম্পূর্ণ বেআইনি এখতিয়ার বহির্ভূত আদেশ দিয়েছেন।
আপিলকৃত মামলাসূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার রোয়াকুলি গ্রামের মৃত দাউদ ম-লের ছেলে দৌলত ম-ল, মইনাল, নিজাম উদ্দিন এক সাথে মোষের ব্যবসা করতেন। একই গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ব্যবসার রাখালি করতেন। গত বছরের ১২ নভেম্বর আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ৪ লাখ টাকা পাবে মর্মে জেহালা ইউনিয়ন পরিষদে দৌলত ম-লের নামে অভিযোগ দাখিল করেন। ইউনিয়ন পরিষদের কয়েক মাস ধরে চলতে থাকে শুনানি। ইউপি সদস্য ছানোয়ার হোসেন, জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও বাদী আব্দুর রাজ্জাকের যোগসাজসে সম্পূর্ণ বেআইনি এখতিয়ার বহির্ভূত আদেশ প্রদান করেন চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন।
আপিল মামলাটিতে আরও বলা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের ম্যানুয়াল অনুসারে ৭৫ হাজার অধিক মূল্যমানের কোনো মামলার বিচার অধিকার নেই চেয়ারম্যানের। ১ ও ৩ নং রেসপন্ডেন্ট পরস্পর যোগসাজেসে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবতি হয়ে সম্পূর্ণ বেআইনি ও অন্যায়ভাবে বিচার কাজ পরিচালনা করেন ও চলতি বছরের ৯ মে এখতিয়ার বহির্ভূূত আদেশ প্রদান করেন চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন। এ ব্যাপারে রোয়াকুলির দৌলত ম-ল চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ চিফজুড়িসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদলতে ওই মামলার আপিল করেছেন। আপিলের রেসপন্ডেন্ট হিসেবে ৭ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন, ইউপি সদস্য রোয়াকুলি গ্রামের সানোয়ার, পরিষদের সচিব ও মামলার বাদী আব্দুর রাজ্জাকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।