আলমডাঙ্গার ছোটপুটিমারীর ফেনসিডিল ব্যবসায়ী শামীম বেপরোয়া: প্রতিকারের দাবি

 

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার ছোটপুটিমারী গ্রামের ফেনসিডিল সম্রাট শামীম আবারও বেপরোয়াভাবে তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মাঝে মাঝে এলাকায় খুচরা ব্যবসা করলেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিকারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের ছোটপুটিমারী গ্রামের শহিদ খন্দকারের ছেলে ফেনসিডিলসম্রাট শামীম(৪৫) নিজ গ্রামে আবারও ফেনসিডিল ও ইয়াবার স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীররাত পযর্ন্ত ফেনসিডিলের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে এলাকায় চাঁদাবাজি ও চুরির উপদ্রব বেড়ে গেছে। মুন্সিগঞ্জ ও তার আশপাশ এলাকায় ব্যাপক হারে হেরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাখোর বেড়ে গেছে। উঠতি বয়সের ছেলেরা মারণনেশা ইয়াবার ধোয়ায় ভাসছে। শঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার অভিভাবক মহল।

এলাকাবাসী অভিযোগ, শামীম মাঝে কিছুদিন ফেনসিডিল খুচরা বিক্রি বন্ধ করলেও এখন পাইকারি বিক্রি করে যাচ্ছে। তাকে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না। তার হাত অনেক লম্বা। ফেনসিডিলসহ কয়েকবার র‌্যাব ও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেল খাটে।এরপর জামিনে বের হয়ে আবারও সে পুরাতন কারবারে যুক্ত হয়েছে।

গোপনসূত্রে জানা গেছে, মায়ানমারের এক ব্যক্তির সাথে মারণনেশা ইয়াবার ব্যবসা করছে সে। জনৈক ব্যক্তি মাঝে মাঝে এসে শামীমের কাছে ইয়াবা দিয়ে যায়। সেই ইয়াবা আলমডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি সরবরাহ করে সে। প্রায় ভারতের বর্ডার থেকে লোক এসে শামীমের কাছে ফেনসিডিল দিয়ে যায়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বোমা তৈরির বিস্ফোরক আমদানি ও সন্ত্রাসীদের সাথে যোগাযোগ আছে বলে অভিযোগ আছে। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে ফেনসিডিল বিক্রি করাকালীন ফেনসিডিল সম্রাট শামীমের ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা তাক করতেই সে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এএসআই মিজান সত্যত্যা স্বীকার করে জানান, মাঝে কিছুদিন ব্যবসা বন্ধ রাখলেও এখন সে ব্যবসা করছে বলে শুনেছি। তাকে আটক করার জন্য পুলিশ জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাকে ধরে আইনের আওয়াতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এলাকাবাসী প্রতিকার চেয়ে পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছে।