আলমডাঙ্গার কাঁটাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে হয়রানির অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার কাঁটাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি চলছেন মনগড়া স্টাইলে। তিনি প্রধান শিক্ষকের অফিস থেকে বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র জোরপূর্বক নিয়ে গেছেন। এসব বিদ্যালয়ের অতি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তিনি কোথায় রেখেছেন তাও জানেন না প্রধান শিক্ষক। টাকা দিয়ে সভাপতির মন জয় করতে না পারার কারণে সভাপতি এএসএম আবীদ আলীম শামীম বিভিন্নভাবে প্রধান শিক্ষককে হেনস্থ করছেন। তাকে এ কাজে সহযোগিতা করছেন এক অভিভাবক সদস্য আবুল কালাম আজাদ সন্টু।

এলাকাসূত্রে জানা গেছে, কাঁটাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য আবুল কালাম আজাদ সন্টু প্রধান শিক্ষক মাসুদুল মান্নানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে দুর্নীতি অনিয়মের লিখিত অভিযোগ করেন। পরে এ ব্যাপারে তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু অভিযোগকারী সন্টুকেও ওই তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে। যা নিয়ম বহির্ভূত। এদিকে সম্প্রতি বিদ্যালয়ের সভাপতি শামীম ও অভিভাবক সদস্য সন্টুসহ কয়েকজন জোরপূর্বক প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে বিদ্যালয়ের সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গেছেন যা সম্পূর্ণ বিধি পরিপন্থি।

একটি সূত্র জানায়, গত নভেম্বরে এনটিআরসিএ’র নিয়োগকৃত আসাদুজ্জামান নামের একজন শিক্ষকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা আদায় করে দেয়ার জন্য সভাপতি চাপ দেন প্রধান শিক্ষককে। প্রধান শিক্ষক তা না করার জের হিসেবে একের পর এক তাকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে এলাকার অনেকেই জানান। তবে বিদ্যালয়ের সভাপতি শামীম মাথাভাঙ্গাকে বলেন, জোর করে নয়, তদন্তের স্বার্থে রেজুলেশনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেয়া হয়েছে।