আন্দুলবাড়িয়ায় ভোট পুনর্গণনা না হওয়া পর্যন্ত গ্যাজেট প্রকাশ বন্ধ রাখার নির্দেশ

 

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী র্মীর্জা হাকিবুর রহমান লিটন হাইকোর্টে ভোট পুনর্গণনার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেছেন। একই রিট করেছেন একই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পরাজিত সদস্য প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার তারা হাইকোর্টে এই রিট দায়ের করলে চেম্বারের বিচারপতিদ্বয় শুনানি শেষে ভোট পুনর্গণনা না হওয়া পর্যন্ত সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে হাইকোর্টের আইনজীবী সহকারী শফিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৮ মে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী র্মীর্জা হাকিবুর রহমান লিটনকে মাত্র ৮৮ ভোটে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার। র্মীর্জা লিটন প্রথম দিন থেকেই অভিযোগ করছেন ইউনিয়নের হারদা ও কর্চ্চাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ভোট গণনা ঠিকভাবে করা হয়নি। তিনি এ দুটি কেন্দ্রে ভোট পুনর্গণনার জন্য নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর আবেদন করেন। একই অভিযোগ করেন ওই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পরাজিত সদস্য প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম। এ অভিযোগের পর গতকাল তারা পৃথকভাবে হাইকোর্টে ভোট পুনর্গণনার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন। তাদের পক্ষে অ্যাড. আসিফ হাসান মামলার শুনানি করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চের বিচারপতি মো. মোয়াজ্জামান হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ভোট পুনর্গণনা না হওয়া পর্যন্ত আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নামের সরকারি গেজেট প্রকাশ বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।