আকাশে নিখোঁজ বিমান : খোঁজ মেলে বাতাসে!

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মালয়েশিয়ার আকাশে ওড়ার পর গত ৮ মার্চ রাতে নিখোঁজ হয় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান এমএইচ ৩৭০। নির্মম সত্য হলো বিমানটির সন্ধান এখন বাতাসেও পাওয়া যাচ্ছে।

আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান সমৃদ্ধ বিশ্বে একটি বিমান হঠাৎ হাওয়া হয়ে গেলো কি-না সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। একের পর এক সন্ধান সূত্র মিলছে তবে সঠিক হদিস মিলছে না মোটেই। বিমানটিতে ২২৭ জন যাত্রী ও ১২ জন বিমানকর্মীসহ মোট ২৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। তাই কেবল তাদের স্বজনেরাই নয় উদ্বিগ্ন বিশ্বের সচেতন মহল। একটু একটু করে খুঁজতে গিয়ে কখনো পাওয়া যায় সাগরের আবর্জনা কখনো কেবল সম্ভাবনার আশার আলো। বার বার হতাশ হচ্ছে স্বজনসহ সবাই। মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী কিছুটা আশার বাণী শোনালেও তা বাস্তব রূপ পায়নি। সর্বশেষ রাশিয়ান এক দৈনিক জানালো আফগান তালেবানের হাতে জিম্মি রয়েছে যাত্রীসহ বিমানটি। মাঝ-আকাশে উধাও বিমানটির সর্বশেষ সন্ধান দিলো রুশ দৈনিক সেকোভস্কি কমসু মুলিতস। দৈনিকটি জানিয়েছে, বিমানের যাত্রী সকলেই সুস্থ রয়েছেন। যদিও গত কয়েক দিন দক্ষিণ ভারত মহাসাগর চষে ফেলেও নিখোঁজ বিমানের কোনো চিহ্ন দেখতে পায়নি মালয়েশিয়া, চীন, অস্ট্রেলিয়ার অনুসন্ধানকারী বিমান ও জাহাজ। রুশ দৈনিক সেকোভস্কি কমসু মুলিতসের খবর অনুসারে, আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরের কাছে অবতরণ করেছে নিখোঁজ এমএইচ-৩৭০ বিমানটি। মাটি স্পর্শ করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারানোর ফলে তার একটি ডানা ভেঙে গিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, রুশ কাগজ জানিয়েছে, বিমানের সব যাত্রীই জীবিত। ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তালেবান বিমানটি অপহরণ করেছে। তাদের হুকুম মেনেই কান্দাহারে অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছেন চালক। এক আফগান নিরাপত্তারক্ষীকে উদ্বৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বেঁচে থাকলেও যাত্রীরা নিরাপদ নন। সাতটি দলে ভাগ করে তাদের রাখা হয়েছে বিমানের ভেতরেই। রুশ পত্রিকাটির দাবি, অপহরণকারীরা সম্ভবত মার্কিন বা চীন সরকারের সাথে মুক্তিপণ আদায়ের ব্যাপারে আলোচনায় বসতে চায়। এদিকে রুশ সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু করেছে মালয়েশিয়া সরকার। স্বভাবতই এই সংবাদের প্রেক্ষিতে স্বজনদের ফিরে পেতে নতুন আশায় বুক বেঁধেছে নিখোঁজ বিমানের ২৩৯ জন যাত্রীর স্বজনরা। তবে রুশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সত্যতা সম্পর্কেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এর মধ্যে গত সোমবার দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে এমন কয়েকটি সঙ্কেত মেলে যা থেকে অনুমান করা হচ্ছে সেগুলো উধাও হওয়া বিমানটির ব্ল্যাক বক্সের হতে পারে। বিমান তল্লাশির সাথে যুক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য সূত্র। সবমিলে নিখোঁজ বিমানের সন্ধানের জন্য গোটা বিশ্ব মরিচীকার পেছনে ছুটছে কি-না তা এখন দেখার বিষয়।