আইনে বিদীর্ণ দু পারের প্রেম

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আসামের নিষিদ্ধ সংগঠন উলফার এক যোদ্ধাকে ভালোবেসে কয়েক বছর আগে জন্মভূমি ছেড়ে প্রেমিকের সাথে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছেলেন বাংলাদেশি তরুণী সান্ত্বনা। তবে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আসাম পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এখন কারাগারে দিন কাটছে তার। প্রেমিকার মুক্তি চেয়ে সম্প্রতি গোহাটির উচ্চ আদালতে আবেদন করেন ওই উলফা যোদ্ধা। তবে সেই আবেদন নাকচ করে সান্ত্বনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে গত বছরের ১৪ জানুয়ারি আসাম সরকারকে নির্দেশ দেন আদালত। সান্ত্বনার বাড়ি চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার বোওয়াসারি গ্রামে। সান্ত্বনার পরিচয় নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে তার শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করে আসাম পুলিশ। ওই তরুণীকে ফেরত নিতে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশকে অনুরোধও পাঠায় তারা। আইনি জটিলতার কারণে ভীনদেশি তরুণের সাথে সান্ত্বনার ঘর বাঁধার স্বপ্নও এখন হুমকির মুখে। তাকে মুক্ত করতে প্রেমিক বাবরুবাহান রাবহা আদালতের দ্বারস্থ হয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। সেখানে সান্ত্বনার সাথে তার পরিচয়-প্রেম গড়ে ওঠে। গত বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার সময় প্রেমিকা সান্ত্বনাকে আসামের গোয়ালপাড়ায় নিয়ে যান রাবহা। সীমান্ত পাড়ি দেয়ার কিছুদিন পরই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে প্রেমিক যুগল। তাদেরকে রাখা হয় কোকড়াঝাড়ের একটি কারাগারে। অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনায় সান্ত্বনার বিরুদ্ধে গোয়ালপাড়া জেলার কৃষ্ণাই থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওই বাংলাদেশি তরুণী ১৯৫০ সালের পাসপোর্ট আইন ভঙ্গ করে ভারতে প্রবেশ করেছেন বলে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।