অসহনীয় অগ্নিদগ্ধ মা ও ছেলে ॥ সহযোগিতার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার: আগুনে পুড়ে ঝলসে যাওয়া সংগ্রামী নারী হাবিবা সুলতানা (৫০) ও তার স্কুলপড়–য়া ছেলে খন্দকার তানভির আহমেদ (১৩) অসহনীয় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে রেখে চিকিৎসা চলছে। অর্থাভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া দিন দিন অসম্ভব হয়ে উঠছে। ফলে সংগ্রামী নারী ও তার সন্তানের পাশে আর্থিক সহযোগতিার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে দৈনিক মাথাভাঙ্গার ঢাকা অফিস প্রধান মনসুর আহেমেদ মাথাভাঙ্গার মূল তহবিল থেকে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়ান। এ সময় হাবিবা সুলতানার শয্যাপাশে থাকা অসহায় কন্যা বলেন, এরকম বিপদ যেন কোনো পরিবারে না আসে। একদিকে মা ও ভাই কাতারাচ্ছে অসহনীয় যন্ত্রণায়, অন্যদিকে সুচিকিৎসা অব্যাহত রাখতে দরকার অনেক টাকা। এক বোন কোনো রকম চাকরি করেন। অপর বোন ছাত্রী। পিতা মারা গেছেন রোগাক্রান্ত হয়ে কয়েক বছর আগে। সহৃদয়বানরা চাইলে ০১৯৪৮-০৮১৫৫৬, ০১৭৩৫-২০৩১০৩ নম্বরে বিকাশ করতে পারেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া রাজধানীপাড়ার খন্দকার নাসির উদ্দীন ছিলেন সংবাদপত্রের এজেন্ট। ঢাকার পত্রপত্রিকার পাশাপাশি তিনি দৈনিক মাথাভাঙ্গারও সরবরাহকারী হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালনের একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মারা যান। দু মেয়ে ও এক ছেলেকে শিশু অবস্থায় রেখে নাসির উদ্দীন মারা গেলে তার স্ত্রী হাবিবা সুলতানা ধরেন ব্যবসার হাল। তিনিই খেয়ে না খেয়ে দু কন্যার এক কন্যাকে শিক্ষিত করেছেন। সে চাকরি করে। অপর মেয়ে কলেজছাত্রী। ছেলে ৭ম শ্রেণির ছাত্র। নিজেদের বাড়ির রান্নাঘরে নতুন গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার নিয়ে রাখার পরদিন গত ২১ জুন বিকেলে রান্না করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। আগুনে ঝলসে যায় মা ও ছেলে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ওই দিন রাতেই নেয়া হয় ঢাকায়। মা ও ছেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এদের চিকিৎসার জন্য দরকার অনেক অর্থ। ফলে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।