অভিযুক্ত ডিসব্যবসায়ী আলমের নামে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের

দামুড়হুদার জয়রামপুরে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় তৎপর মানবতার নেতৃবৃন্দ

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জয়রামপুর হাজিপাড়ার বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ফুসলিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় অসহায় বাকপ্রতিবন্ধীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন মানবাধিকার সংগঠন মানবতার নেতৃবৃন্দ। আইনি সহায়তার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতার জন্য রয়েছেন তৎপর। ওই সংগঠনের উদ্যোগেই অভিযুক্ত প্রতিবেশী ডিস ব্যবসায়ী আলমকে অভিযুক্ত করে দামুড়হুদা মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার, সমন্বয়কারী অ্যাড. কাইজার হোসেন জোয়ার্দ্দার, অপারেশন অফিসার অ্যাড. জীল্লুর রহমান এবং সহমোটিভেশন কর্মকর্তা মাহফুজা আকতার যুথির উপস্থিতিতে ওই বাকপ্রতিবন্ধীর মা বাদী হয়ে গতকাল রোববার বিকেলে ওই মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরকালে ভিকটিম বাকপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরী দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আকরাম হোসেনকে ইশারা-ইঙ্গিতে প্রতিবেশী ডিস ব্যবসায়ী আলমের নাম প্রকাশ করে। এর আগে ১৬ নভেম্বর বুধবার দুপুরে মানবতা ফাউন্ডেশনের ৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীর বাড়ি পরিদর্শন করেন। ওই সময় ভিকটিম বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী মাবনতার প্রতিনিধিদলকে অভিযুক্ত প্রতিবেশী ডিসব্যবসায়ী আলমের বাড়ি দেখিয়ে দেয়। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি বলেছেন, আজ সোমবার ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষাসহ অন্যান্য প্রক্রিয়াসম্পন্ন করা হবে। ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ডিসব্যবসায়ী আলমকে দ্রুত গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জয়রামপুর হাজিপাড়ার এক অসহায় হতদরিদ্র ভ্যানচালকের বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েকে ৭ মাস আগে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ফলে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বর্তমানে সে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বাকপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরীই মা-বাবাকে ইশারায় দেখিয়ে দিয়েছে প্রতিবেশী ডিসব্যবসায়ী আলমের ২য় স্ত্রীর বাড়ি। সে ইশারা-ইঙ্গিতে বলেছে ওই ডিসব্যবসায়ী আলম দিনের বেলা তার ২য় স্ত্রীর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করতো।
এদিকে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীর সর্বনাশের জন্য দায়ী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।