অবশেষে বন্ধ হয়েছে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নকল এলইডি টিভি বিক্রি : তবে তৎপরতা বন্ধ হয়নি

 

স্টাফ রিপোর্টার: অবশেষে কিছুটা পিছু হটেছে কথিত এমএলএম কোম্পানি পিএইচ আর। গতকাল বুধবার সুন্দরবন কুরিয়ার চুয়াডাঙ্গা অফিস থেকে একটি টেলিভিশনও ছাড়া হয়নি বলে দাবি করেছেন কুরিয়ার কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট কুরিয়ার সার্ভিসের প্রধান শাখার নির্দেশে স্ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে অভিযুক্ত নকল এলইডি টিভি বিক্রির গত ২৪ ঘণ্টার সকল হিসাবপত্র যাচাই-বাছায়ের জন্য আটকে দেয়া হয়েছে। প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত নারায়নগঞ্জের পিএইচ আর ইলেকট্রনিক্স ও ফার্ণিচার মেলা কর্তৃক বাজারে ছাড়া এক হাজার টাকার স্ক্রাচ কার্ডে দেয়া মোবাইল নম্বরগুলোর অধিকাংশই বন্ধ পায়া গেছে। তবে এর চুয়াডাঙ্গার ৩ এজেন্টকে সদর থানার আশপাশে গতকাল দিনভর ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। নকল সনি, স্যামসাং, এলজি ১৭, ১৯ ইঞ্চি টিভি কিনে প্রতারিত হওয়া বেশ কয়েকজন ব্যক্তি তাদের ভুল বুঝতে পেরে টিভি ফেরত দিতে এসে পড়েছেন বিপাকে। সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ যেহেতু আগেভাগেই বলে দিয়েছিলো ডেলিভারি হওয়া টিভির কোনো দায়িত্ব নেবে না। তাই ওই পণ্য ফেরত নিতে অপারগতা প্রকাশ করছে। বাধ্য হয়ে প্রায় দ্বিগুন দামে কেনা নকল এলইডি টিভি হাতে নিজের মনকে দুশতে দুশতে ব্যর্থ মনে বাড়ির পথ ধরছেন নারী পুরুষের দল।

উল্লেখ্য, গত একমাস যাবত নারায়নগঞ্জের পিএইচ আর ইলেকট্রনিক্স ও ফার্ণিচার মেলা নামক একটি প্রতিষ্ঠানের নামে এমএলএম পদ্ধতিতে ১ হাজার টাকার স্ক্র্যাচ কার্ড কিনে তা ঘষার পর ৬ হাজার ৩শ ৮০ টাকার বিনিময়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নকল ও নি¤œমাণের ১৭, ১৯ ইঞ্চি এলইডি টিভি টিভি বিক্রি হয়ে আসছিলো এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন প্রায় ২ হাজার মানুষ। যাদের অধিকাংশই গ্রামের অথবা নি¤œআয়ের। গত ৪/৫ দিন এই ব্যবসা রমরমা হয়ে ওঠে । অতঃপর দৈনিক মাথাভাঙ্গার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ওই হায় হায় কোম্পানির আদ্যপান্ত, যা ছাপা হয় গতকালের পত্রিকায়।