অবরোধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছাত্রলীগের মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বিএনপি-জামায়াতের অবৈধ অবরোধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ। সমাবেশের কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশিক ইকবাল স্বপনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি রুবায়েত বিন আজাদ সুস্তির, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল ইমরান শুভ, জেলা ছাত্রলীগের স্কুল ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাজু আহমেদ, সদর থানা ছাত্রলীগের সাধরণ সম্পাদক সুমন রেজা, জনি, কলেজ ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আকতার, অর্থ সম্পাদক টিটোন, ছাত্রলীগ নেতা খালিদ মাহমুদ, শিমুল, ফয়সাল, রানা, মোমিন, টোকন, লিপু, রিজভী, জীম, কোলেন্স, রনি, কাদের, সোহেল, সম্রাট, প্রান্ত, কাব্য, রোমেল রেজাওয়ান, উজ্জল, ইব্রাহিম, তরুন, মালেকসহ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জাতিকে যখন সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাচ্ছে এবং বহির্বিশ্বে বাঙালি জাতির রূপ রেখার পরিবর্তন ঘটিয়ে একটি সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়েছে। ঠিক তখনই বিএনপি-জামায়াত, শিবির, একাত্তরের দোসররা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সারাদেশে অবরোধ ও হরতালের নামে সাধারণ জনগণের জানমালের ক্ষতি করছে। তাই তিনি ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অতিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নেতৃত্বে যেভাবে রাজপথে থেকে সকল অপশক্তিকে রুখে দিয়েছে। প্রয়োজন হলে আবারও ছাত্রলীগ রাজপথে নামবে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, হরতাল ও অবরোধের বিরুদ্ধে সন্ধ্যারাতে মেহেরপুর শহরে জেলা ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের শিল্পকলা একাডেমী মোড় থেকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় মিছিল থেকে হরতাল ও অবরোধে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়। পরে শিল্পকলা একাডেমী মোড়ে এক পথসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান পোলেন, সদর উপজেলা সভাপতি জুলফিকার আলী, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম আনন্দ, কলেজছাত্রলীগের সভাপতি কুদরত-ই খোদা রুবেলসহ অন্যন্যরা। মিছিলে শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী অংশ নেন। এদিকে শহরে যেকোনো নাশকতা এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, অবরোধ ও হরতালের নামে দেশজুড়ে চলা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার বিকালে শহরের কাঞ্চননগর পাড়া থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ। মিছিলটি পায়রা চত্বরসহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে শহরের কলাবাগান চার রাস্তার মোড়ে সমাবেশ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হোসাইন সনির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাজী এনামুল হক মিলন, পৌর যুবলীগের আহবায়ক ফজল মাহমুদ পাভেল, পৌর কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, রেজাউল ইসলাম নিজাম, আওয়ামী লীগ নেতা আতিয়ার রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফুজ্জামান সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ানুল ইসলাম রিপন, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি খাইরুল ইসলাম টিটন, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম মুনতাছির চন্দন, রেজওয়ানুল ইসলাম বাপ্পী, শাহ মো. রবি, মিজানুর রহমান, প্রসেনজিত ঘোষ, কাজী চন্দন, দীপন কুমার কুণ্ডু ও সাইফুল ইসলাম।

কর্মীসভায় তৃণমূল পর্যায় থেকে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী ও রাজনীতির মাঠে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব তৈরির জন্য দলীয় নেতাকমীদের প্রতি আহ্বান জানান ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশটাকে ধ্বংস করে ক্ষমতায় বসে লুটপাট করতে চায়। গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড একসাথে চলতে পারে না। বাংলার জনগণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। লালকার্ড দেখিয়ে তারা সন্ত্রাসীদের বিতাড়ন করবে, অবরোধকারীরা যাতে রাস্তায় নামতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের মনে রাখা উচিত বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্রই ছাত্রলীগ রুখে দাঁড়িয়েছে। তাই বিএনপি যদি তাদের এদেশ বিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ না করে তাহলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজপথে নেমে তাদের এ জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।