অপরাধ দমনে জনগণের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন

গাংনীতে ওপেন হাউজডেতে পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান

 

গাংনী প্রতিনিধি: খুবই শিগগিরই মেহেরপুর জেলার মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা ডাটাবেজ তৈরির কথা বললেন পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গাংনী থানা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ওপেন হাউজডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তিনি। বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেন, অপরাধের শুরুটা হচ্ছে মাদক থেকেই। আর সব অপরাধ নির্মুলের দায়িত্ব পড়ছে পুলিশের ঘাড়ে। সামাজিক দুর্বলতার বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন মানুষের শিশুকাল থেকে তরুণ, তরুণ থেকে যুব বয়স সবক্ষেত্রেই শিক্ষাদানের জন্য কয়েকটি স্তরের মানুষের ভূমিকা রয়েছে। পরিবার, শিক্ষক ও সমাজ থেকে তারা শিক্ষা লাভ করে থাকে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এখন নৈতিক শিক্ষার বড় অভাব চোখে পড়ছে। পরিবার কিংবা সমাজের চোখের সামনে একজন মানুষ খারাপ পথে ধাবিত হলেও তারা প্রতিবাদ করছে না কিংবা প্রতিবাদ করতে পারছে না। এক সময় যখন বড় ধরনের অপরাধ করছে তখন পুলিশের কাছে তথ্য যাচ্ছে। সামাজিক শিক্ষা কিংবা প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার থাকলে অপরাধ এমনিতেই কমে যাবে।

বাংলাদেশ পুলিশের স্বল্প জনবলে ব্যাপক কর্মযজ্ঞের কিছু বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, অপরাধ দমনে জনগণের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। সব দায় পুলিশের ওপর না চাপিয়ে যার যার অবস্থান থেকে যদি অপরাধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া যায়, তাহলে দেশটি সোনার দেশে রুপান্তরিত হবে। মাদকসেবী, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসিসহ অপরাধীদের কোনো ধর্মই নেই। তাদের কাছে সকলেই সমান। নিজবাড়ি ও পরিবারের ক্ষতিসাধন করতেও তারা কুণ্ঠাবোধ করে না। তাই এদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা না করে প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মাদকের চাহিদা রেখে বিক্রি বন্ধ করা যাবে না। তাই জেলায় মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের তালিকা ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। নিয়মিত মনিটরিঙের মাধ্যমে মাদক নির্মুলে পুলিশ আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পুলিশ সুপার।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন।

বক্তব্য রাখেন মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। বক্তারা গাংনী উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। গাংনী থানা ও ক্যাম্পগুলোতে জনবল এবং যানবাহন বৃদ্ধির জন্যও পুলিশ সুপারের কাছে দাবি করেন বক্তারা।